Advertisement
E-Paper

হোয়াটসঅ্যাপে শিশুর সমস্যা স্কুলকে জানাবেন অভিভাবক

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন রপ্তান জানান, প্রাক্-প্রাথমিক থেকে প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের জন্য প্রথম এই গ্রুপ তৈরি হচ্ছে।

নীলোৎপল বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৩৬

ফোন নম্বর-সহ অভিভাবকদের নামের তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। বুধবার থেকে সকলকে মোবাইলে সজাগ থাকতে বলে রেখেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। আজ, বুধবার থেকেই শ্যামবাজারের এ ভি স্কুলে অভিভাবকদের নিয়ে চালু হতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। স্কুল সূত্রের খবর, গ্রুপে অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাড়াও থাকছেন দু’জন মনোরোগের চিকিৎসক এবং এক জন সাহিত্যিক। এক জন পুষ্টিবিদকে যুক্ত করার ভাবনাচিন্তাও চলছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন রপ্তান জানান, প্রাক্-প্রাথমিক থেকে প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের জন্য প্রথম এই গ্রুপ তৈরি হচ্ছে। সুফল মিললে উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের জন্যও এমন গ্রুপ চালু করা হবে। আজ, বুধবার স্কুলে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা চালুর অনুষ্ঠানে এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথা ঘোষণা হওয়ার কথা। মনোরঞ্জনবাবুর কথায়, ‘‘এই গ্রুপে কোনও অভিভাবক সরাসরি ছেলে-মেয়ের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। আমরা গ্রুপেই সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব।’’ মনোরঞ্জনবাবুর মত, ‘‘মনোরোগের চিকিৎসক থাকায় মানসিক ভাবে ছেলে-মেয়েদের সমস্যা হলে, সমাধান জেনে নেওয়া যাবে সহজেই।’’

আগে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সাহায্য করতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হয়েছিল শহরের বেশ কিছু স্কুলে। সিবিএসই, আইসিএসই বোর্ডের স্কুলেও এই ধরনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের ব্যবহার নতুন নয়। তবে বাংলা মাধ্যম কোনও স্কুলে এই উদ্যোগ নতুন। বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে মনোরোগের চিকিৎসক অনিরুদ্ধ দেব বলছেন, ‘‘দারুণ উদ্যোগ। একে ঠিক মতো ব্যবহার করতে পারলে সুফল আসবে। তবে মনে রাখতে হবে, প্রাথমিক ভাবেই কেবল সমস্যা বুঝে নেওয়া যায় হোয়াট‌সঅ্যাপে। সবিস্তার চিকিৎসা কিন্তু হবে না।’’

পুষ্টিবিদ রেশমী রায়চৌধুরীরও বক্তব্য, ‘‘দারুণ উদ্যোগ। এ ভাবে ভাবা যেতেই পারে। তবে হোয়াটসঅ্যাপের মতো ফোরামে কেউ প্রাথমিক সমস্যা জানাতে পারেন। তবে তার পর ব্যক্তিগত ভাবে পরামর্শ করা প্রয়োজন।’’

তবে আপাতত স্কুলের গ্রুপ নিয়ে অভিভাবকদের উৎসাহের অন্ত নেই। প্রধান শিক্ষক জানালেন, সদস্য হতে চেয়ে ইতিমধ্যেই ৬০০ জন অভিভাবক আবেদন করেছেন। তবে এত জনকে কী করে এক গ্রুপে রাখা যায় তা নিয়েই ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। দু’টি পৃথক গ্রুপে ভাগ করে অভিভাবকদের নেওয়া হতে পারে। এক ছাত্রের মা বললেন, ‘‘আমরা দু’জনেই চাকরি করি। অনেক সময়েই স্কুলে যাওয়া হয় না। শাশু়ড়িই সব করেন। গ্রুপ হলে আমাদের সুবিধাই হবে।’’

Whatsapp Parents Children School
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy