Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Kolkata Police

নকল সফটওয়্যার পাঠিয়ে ডলার লোপাট, ধৃত ১০

পুলিশ জানিয়েছে, একটি বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার পরিষেবা দেওয়ার নাম করে আমেরিকার নাগরিকদের কাছ থেকে প্রচুর ডলার হাতিয়েছে ধৃতেরা।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২০ ১০:০০
Share: Save:

ফের শহরে বসে বিদেশি নাগরিকদের প্রতারণা-চক্রের হদিস পেল কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পার্ক সার্কাস এলাকা থেকে ওই চক্রের ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে বেনিয়াপুকুর থানা। পুলিশ জানিয়েছে, একটি বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার পরিষেবা দেওয়ার নাম করে আমেরিকার নাগরিকদের কাছ থেকে প্রচুর ডলার হাতিয়েছে ধৃতেরা। সম্প্রতি গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল।

পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম আফাক খুরশিদ, মহম্মদ কালাম, মহম্মদ ইমরান, শামস তনভির, মহম্মদ রেজাউদ্দিন, মহম্মদ শোয়েব, আলি হামজা, মহম্মদ মিরাজ, শেখ ইরফান এবং সানে জাফর। তারা সকলেই পার্ক সার্কাস ও বেনিয়াপুকুর এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে চারটি ল্যাপটপ, কয়েকটি এটিএম কার্ড এবং ১১টি মোবাইল। ধৃত দশ জনকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত।

পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতায় বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করে মার্কিন নাগরিকদের ফোন করত (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল) অভিযুক্তেরা। নিজেদের একটি মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী পরিচয় দিয়ে পরিষেবা দেওয়ার কথা জানাত। তার জন্য পাঠাত একটি জাল সফটওয়্যার। সেই সফটওয়্যার চালু করার জন্য কলকাতায় বসেই আমেরিকার সংশ্লিষ্ট নাগরিকের কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ

নিত অভিযুক্তেরা এবং তার ফাঁকেই কৌশলে ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ডলার সরিয়ে নিত। সেই ডলার জমা পড়ত কলকাতায় বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, গত তিন মাস ধরে সক্রিয় ছিল এই চক্র। মোট কত ডলার তারা হাতিয়েছে, তা জানতে অভিযুক্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করা হচ্ছে।

শহরে এমন প্রতারণা-চক্র অবশ্য নতুন নয়। কয়েক বছর আগে জার্মান নাগরিকদের প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে প্রথম এমন চক্রের খোঁজ পায় পুলিশ। পরবর্তীকালে একাধিক বার এই ধরনের চক্র ধরা পড়েছে। ব্রিটিশ নাগরিকদের প্রতারণার অভিযোগে দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করেছিল লালবাজার। পুলিশের একাংশের বক্তব্য, বারবার ধরপাকড় সত্ত্বেও এই চক্রের বাড়বাড়ন্ত কমছে না।

সাইবার-আইন বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘লজ্জাজনক হলেও সত্যি যে, কল সেন্টারের নাম করে এমন প্রতারণা-চক্র চলছে। এরা বিভিন্ন গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ করে তা দিয়ে ঠগবাজি করছে। এই অপরাধ ঠেকাতে সরকারের বিশেষ নীতি প্রণয়ন করা দরকার। তা না-হলে বিপিও শিল্পের উপরে এর কুপ্রভাব পড়বেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kolkata PoliceOnline Fraud Racket Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE