Advertisement
E-Paper

পরিষেবা নিয়ে যাত্রীদের মত নেবে মেট্রো

যাত্রীদের মনের হদিস পেতে সোমবার থেকেই কলকাতা মেট্রোর ২৪টি স্টেশনে তাঁদের মতামত নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৯ ০১:৩৬
ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

যাত্রীদের চাহিদার সঙ্গে তাল রেখে ট্রেনের সময় পুনর্বিন্যাসের কথা ভাবছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সপ্তাহের কাজের দিন ছাড়াও শনি এবং রবিবারের মেট্রো পরিষেবার সময় কী ভাবে বদলালে যাত্রীদের সুবিধা হয় তা জানতে চান মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

যাত্রীদের মনের হদিস পেতে সোমবার থেকেই কলকাতা মেট্রোর ২৪টি স্টেশনে তাঁদের মতামত নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। মেট্রোর তরফে একটি বিশেষ ফর্ম ছাপানো হয়েছে। সূত্রের খবর, সব ক’টি স্টেশনের সুপারদের কাছে ওই ফর্ম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের ওই ফর্ম সংগ্রহ করে সেখানে পাঁচ দফা প্রশ্নের উত্তর লিখে নিজেদের নাম এবং স্মার্ট কার্ড নম্বর জানিয়ে জমা দিতে বলা হচ্ছে বলে খবর।

মেট্রোকর্তাদের দাবি, সপ্তাহের কাজের দিনগুলি ছাড়াও শনি ও রবিবারেও সম্প্রতি যাত্রী-সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বাজার-হাট, ব্যবসা, বিনোদন এবং পরীক্ষা-সহ নানা কারণে সপ্তাহান্তের ওই দু’দিন শহরতলির অনেক বাসিন্দাও মেট্রোয় চড়েন। সূত্রের খবর, চালু পরিকাঠামোর মধ্যেই ট্রেনের সময়সূচি খানিকটা বদলাতে চাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, ট্রেনের সংখ্যাও বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে যাত্রীরা কী চাইছেন, তা মাথায় রেখেই ওই বদল আনতে চান মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সে জন্যই নির্দিষ্ট ফর্মে মতামত নেওয়ার ব্যবস্থা বলে খবর।

কী থাকছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের দেওয়া ওই ফর্মে? মেট্রো সূত্রে খবর, পাঁচ দফা প্রশ্ন থাকছে তাঁদের দেওয়া ফর্মে। প্রথম প্রশ্নে রবিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে দমদম এবং কবি সুভাষের মধ্যে মেট্রো চলাচলের সময় কতটা এগিয়ে আনলে সুবিধা হয় তা যাত্রীদের কাছে তা জানতে চেয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

রবিবার সকাল থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত ১৫ মিনিট অন্তর মেট্রো চলে। দ্বিতীয় প্রশ্নে ওই ব্যবধান কতটা কমালে সুবিধা হয়, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

গত কয়েক বছরে নোয়াপাড়ায় যাত্রী বেড়েছে। ভবিষ্যতে মেট্রোর যাত্রাপথ সম্প্রসারিত হলে ওই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখন ১৫ থেকে ২০ মিনিট অন্তর নোয়াপাড়া থেকে মেট্রো চলে। ওই ব্যবধান কিছুটা কমিয়ে আনতে চান মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে যাত্রীদের মতামত চাওয়া হয়েছে।

বর্তমানে সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতে সকালে ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে এবং সন্ধ্যায় সাড়ে ৫টা থেকে ৭টার মধ্যে সাধারণত ৬ মিনিট অন্তর মেট্রো চলে। ওই সময়সূচির পুনর্বিন্যাস করার পাশাপাশি দু’টি ট্রেনের মাঝের ব্যবধান ছ’মিনিট থেকে পাঁচ মিনিটে নামিয়ে আনার কথাও বিবেচনা করছেন কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও পরিষেবা সংক্রান্ত সাধারণ মতামত চাওয়া হচ্ছে যাত্রীদের কাছে।

কিন্তু যেখানে চালু পরিষেবা দিতেই মেট্রো কর্তৃপক্ষের হিমশিম খাওয়ার অবস্থা সেখানে ট্রেন বাড়বে কী ভাবে?

মেট্রোকর্তাদের দাবি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পাঁচটি নতুন বাতানুকূল রেক তাঁরা পরিষেবার কাজে লাগাতে পারবেন বলে আশা করছেন। চিনের ডালিয়ান এবং ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরির ওই রেকগুলি পুরোদস্তুর কাজে লাগানো গেলে পরিষেবার হাল অনেকেটাই ফিরবে বলে তাঁরা আশাবাদী। সে ক্ষেত্রে পুরনো রেকের ব্যবহার অনেকটা কমে যাবে।

মেট্রোর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পরিকাঠামোর সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও যাত্রীদের প্রয়োজন জানাটা জরুরি। সেটা বুঝতে পারলে চালু পরিকাঠামোর সর্বোচ্চ ব্যবহার

নিশ্চিত করা যাবে।’’

মেট্রো আধিকারিকদের একাংশের মতে, যাত্রীদের চাহিদার সঙ্গে তাল না রেখে ট্রেনের সংখ্যা ইচ্ছে মতো বাড়ানোর ফলে অতীতে মেট্রোর একাধিক রেকের অযথা আয়ুক্ষয় হয়েছে। মেট্রোর আয়ও বাড়েনি। এ বার তাই মেট্রো কর্তৃপক্ষ অনেকটাই সতর্ক। পরিকাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে সকাল এবং সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে ট্রেনের ব্যবধান এক মিনিট কমিয়ে অন্য সময়ে ওই ব্যবধান সামান্য বাড়াতে চান মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তবে, কতটা কী করা হবে তা যাত্রীদের থেকে পাওয়া মতামত দেখেই স্থির করতে চান মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

Kolkata Metro Public Transport
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy