Advertisement
E-Paper

কলকাতার কড়চা

নারায়ণ ছোট থেকেই মেধাবী ছিলেন, ১৯৪১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। ডি ফিল পান বাংলা সাহিত্যে ছোট গল্প নিয়ে গবেষণা করে, আর চল্লিশের দশকেই তাঁর প্রথম গল্প ‘নিশীথের মায়া’ প্রকাশিত হয় ‘দেশ’ পত্রিকায়।

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৭ ০০:২৬

শতবর্ষে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়

দেশকে স্বাধীন করতে বিপ্লবীদের নানা ভাবে সাহায্য করতেন পনেরো বছরের এক কিশোর। অনুশীলন সমিতিতে যুক্ত থাকায় পুলিসের হাতে ধরা পড়ে হাজতবাসও করতে হয়েছিল তাঁকে। সেই কিশোরই পরবর্তী জীবনে খ্যাতকীর্তি সাহিত্যিক ও অধ্যাপক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়। বাবার দেওয়া নাম অবশ্য ছিল তারকনাথ, লেখালিখির সময় করে নেন নারায়ণ। জন্ম দিনাজপুরে ১৯১৮ সালে, এ বছর শতবর্ষে পা দিলেন। বাবা প্রমথনাথের দারোগার চাকরি, বাড়িতে বিপুল লাইব্রেরি, ছোটদের সব পত্রিকা নিয়মিত আসত। নারায়ণ ছোট থেকেই মেধাবী ছিলেন, ১৯৪১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। ডি ফিল পান বাংলা সাহিত্যে ছোট গল্প নিয়ে গবেষণা করে, আর চল্লিশের দশকেই তাঁর প্রথম গল্প ‘নিশীথের মায়া’ প্রকাশিত হয় ‘দেশ’ পত্রিকায়। সিটি কলেজে শিক্ষকতা শুরু, পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘকাল পড়িয়েছেন। ছাত্র পবিত্র সরকারের ভাষায়, নারায়ণবাবুর ক্লাস করা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। অন্য দিকে প্রকাশক সবিতেন্দ্রনাথ রায়ের কথায়, সুন্দর হাতের লেখায় সাজানো পাণ্ডুলিপি দিতেন, আর নিজেই প্রুফ দেখতেন। সাহিত্যিকদের আড্ডায় ছিল তাঁর নিয়মিত উপস্থিতি। কবিতা দিয়ে সাহিত্যজীবন শুরু হলেও গল্প উপন্যাস প্রবন্ধ নাটক গান কিশোর পাঠ্য রচনা সবেতেই সিদ্ধহস্ত ছিলেন তিনি। ‘টেনিদা’ তাঁর অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। সাগরময় ঘোষের অনুরোধে ‘দেশ’ পত্রিকায় ১৯৬৩-’৭০ লেখেন ‘সুনন্দর জার্নাল’ নামে রম্যরচনা। অথচ আনন্দ পুরস্কার ছাড়া অপর কোনও সাহিত্য পুরস্কারই তিনি পাননি। ১৯৭০ সালে মাত্র ৫২ বছর বয়সে প্রয়াত হন নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়। আনন্দ থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর সমগ্র কিশোর সাহিত্য, মিত্র ও ঘোষ থেকে রচনাবলি। সম্প্রতি ‘সন্দেশ’ প্রকাশ করল তাঁকে নিয়ে বিশেষ সংখ্যা।

সম্মাননা

গত পনেরো বছর ধরে পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেছেন যে সংস্কৃত মহাকাব্যটির, তিনি মনে করেন সেই বাল্মীকি রামায়ণ (বঙ্গীয় সাহিত্য সংসদ) তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা কাজ; অথচ আমাদের কাছে তাঁর প্রধান পরিচিতি ভাষাতাত্ত্বিক ও অভিধানকার হিসেবেই। আধুনিক বাংলা প্রয়োগ অভিধান (আনন্দ) বইটির জন্য ১৯৮৪-তে পেয়েছিলেন আনন্দ পুরস্কার, সংস্কৃত-ইংরেজির সঙ্গে যত্ন করে শিখেছেন ফরাসি, স্প্যানিশ ও ইতালিয়ান ভাষা, কিন্তু সুভাষ ভট্টাচার্য পেশাজীবনে ছিলেন ইতিহাসের শিক্ষক। ভাষাচর্চার জগতে প্রবেশ করে সুভাষ উপহার দিয়েছেন বিদেশি নামের উচ্চারণ (সংসদ), লেখক-সম্পাদকের অভিধান, ভাষাকোশ ইত্যাদি মোট আটত্রিশটি বই। অন্তরালপ্রিয় এই ভাষাবিদের হাতে ‘অহর্নিশ’ পত্রিকা তুলে দেবে মণীন্দ্র কুমার ঘোষ ও জ্যোতিভূষণ চাকী স্মরণে সম্মাননা, ‘ভাষাতত্ত্ব ও অভিধান বিষয়ে একটি সন্ধ্যা’ অনুষ্ঠানে, ২৬ জুন বিকাল সাড়ে পাঁচটায়, তপন থিয়েটারের দোতলায়। পিনাকেশ সরকার বলবেন ‘বঙ্কিমচন্দ্রের ভাষাচিন্তা’ বিষয়ে। সব শেষে ‘আভিধানিকের অভিজ্ঞতা’ বলবেন সুভাষ ভট্টাচার্য। ছবি তুলেছেন অর্ক চক্রবর্তী।

শীলা-লিপিমালা

বাংলার ধাঁধা, নকশি কাঁথা, ব্রতপার্বণ, প্রবাদ-প্রবচন, লোককথা, কিংবদন্তি— মাটির গন্ধমাখা লোকায়ত জীবনের অনুষঙ্গে এমন বিষয়গুলি যাঁর কলমে পাঠকের দরবারে উপস্থিত হয়েছে, সেই গবেষক শীলা বসাক (১৯৪৭-২০১৫) অকালেই চলে গিয়েছেন। বাঙালির সাংস্কৃতিক জীবনে তাঁর বইগুলির ভূমিকা বড় কম নয়। তাঁর উত্তরাধিকার যাতে বিস্মৃতির আড়ালে না চলে যায়, তাই আনিসুজ্জামান পবিত্র সরকার পল্লব সেনগুপ্তের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে বৃহদায়তন স্মারকগ্রন্থ শীলা-লিপিমালা (পুস্তক বিপণি)। শীলা বসাকের গবেষণা লাইব্রেরি-কেন্দ্রিক ছিল না, প্রতিটি ক্ষেত্রেই উপকরণের সন্ধানে তিনি পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম-গ্রামান্তরে ঘুরেছেন। তাঁর প্রতিটি কাজই তাই আকরপ্রতিম হয়ে উঠেছে। বইটিতে বহু জনের ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণে বার বার উঠে এসেছে সেই সব কথা। আছে গ্রন্থ আলোচনা, আর আছে মূল্যবান ২১টি মৌলিক রচনা। সেখানে গবেষকদের কলমে নানা বিচিত্র বিষয়ের গভীর অবলোকন। শেষে চিঠিপত্র, শীলা বসাকের জীবন ও রচনাপঞ্জি। সব মিলিয়ে এক সমৃদ্ধ জীবনের কথা, যা পাঠককেও বহু দিন সমৃদ্ধ করবে।

বিশ্বসংগীত

‘বিশ্বসংগীত’ সম্পর্কে উনিশ শতকের শেষ ভাগ থেকেই বঙ্গদেশে একটি ধারণা গড়ে উঠতে শুরু করেছিল। ১২৯৯ বঙ্গাব্দে নরেন্দ্রনাথ দত্তের সঙ্গীতকল্পতরু-র সংশোধিত সংস্করণ প্রকাশিত হয় বিশ্বসংগীত নামে। শৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুর লেখেন ইউনিভার্সাল হিস্টরি অব মিউজিক। ২০ জুন সন্ধে ৬টায় ‘সূত্রধর’-এর উদ্যোগে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম, বরানগর-এ ‘বিবেকানন্দ ও বিশ্বসংগীত’ অনুষ্ঠানে এ নিয়ে আলোচনায় সর্বানন্দ চৌধুরী। প্রকাশিত হবে ব্রজেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ধর্মরাজ্যে সংগীতের স্থান বইটি। আছে স্বামী বিবেকানন্দের প্রিয় গান ও সর্বানন্দ চৌধুরীর ‘সুর ও ছন্দ: বিবেকানন্দ’ তথ্যচিত্র প্রদর্শন।

অভী স্মরণে

সাহা ইনস্টিটিউটের পিএইচ ডি, বিদেশে দীর্ঘ দিন গবেষণার পর দেশে ফিরে বোস ইনস্টিটিউট ও ভেরিয়েব্‌ল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার হয়ে ২০০৪ থেকে সাহা ইনস্টিটিউটেই যোগ দেন। আমৃত্যু সেখানেই ছিলেন অকালপ্রয়াত অভীকান্তি দত্তমজুমদার (১৯৬৮-২০১৩)। গবেষণাগারের বাইরে সমাজের নানা স্তরে অভী নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। কৃষিক্ষেত্রে জিন প্রযুক্তি, বিপন্ন ভূজীববৈচিত্র, কেমিক্যাল হাব-এর দূষণ, বাজার অর্থনীতির আগ্রাসন— এ সবেরই প্রতিবাদে পথে নেমেছেন বার বার। চমৎকার বক্তা ছিলেন, ছিলেন অসামান্য সংগঠক। তাঁরই নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ফ্রেন্ডস অব ডেমোক্র্যাসি ২২ জুন বিকেল ৫টায় ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটে আয়োজন করেছে অভী দত্তমজুমদার স্মারক বক্তৃতা ২০১৭, বলবেন নন্দিনী সুন্দর ও শুভজিৎ বাগচী। সঞ্চালক সুজাত ভদ্র, সভাপতি: রণবীর সমাদ্দার। এ দিকে নাগরিক মঞ্চের উদ্যোগে ২৪ জুন শরৎ স্মৃতি সদনে সারা দিন পরিবেশ চর্চা— প্রসঙ্গ জলাভূমি, গাছ কাটা ও পেশাগত রোগ সিলিকোসিস। থাকছে আলোচনা, বই প্রকাশ, ছবি ও বই প্রদর্শনী।

নিভৃতচারী

কবি গীতা চট্টোপাধ্যায় নিভৃতে মগ্ন কবিতা সৃষ্টিতে। তাঁর কাছে, যা পেলে আর কিছু পাওয়ার নেই তা কবিতা। তিনি জানান, ‘খুব একটা আঘাত পেয়েছি মনে, যখন নিমাই সন্ন্যাসীর প্রার্থনা স্তবে পেয়েছি, আমি ঐশ্বর্য লোকলস্কর সুন্দরী রমণী বা কবিতাও চাই না। আমি চাই জন্মে জন্মে তোমার অহেতুক ভক্তি, গোবিন্দ’। তাই কবি নিজে পরম বৈষ্ণব হয়েও বলেন, ‘আমার কাছে কবিতাই গোবিন্দ, গোবিন্দই কবিতা’। আবার লেখেন, আমি বরং শিরও দেব, স্বধর্ম কখনও না। সমূহ নির্জনতার ভিতরেও গর্জে ওঠেন রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠা ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। বাংলা কবিতার ইতিহাসে এ হেন বিরল ও ব্যতিক্রমী কবির জীবন ও সাহিত্য সম্পর্কে সম্প্রতি সাহিত্য অকাদেমি-র ‘আমার চোখে’ অনুষ্ঠানে বললেন কবি সুধীর দত্ত।

ডাক্তারদের ছবি

পেশায় তাঁরা সকলেই ডাক্তার, শরীরের নানা অঙ্গের বিশেষজ্ঞ। আবার নেশায় তাঁরা সকলেই আলোকচিত্রী, ক্যামেরার লেন্সে ধরে রাখতে চান এক অন্য অভিজ্ঞতা। সেখানেও কেউ পাহাড়, কেউ জঙ্গল, কেউ প্রত্নতত্ত্বে মন দিয়েছেন। দশজন ডাক্তারের তোলা এই সব ছবি নিয়েই ফোটোগ্রাফি চর্চা-র প্রদর্শনী। নন্দন ৪-এ, ২৩-২৫ জুন, ৪-৮।

সংগীত দিবস

রবীন্দ্রনাথ তাঁর সৃষ্টির সময় অবিরত প্রাণিত হতেন দেশজ সংস্কৃতি ও শিল্প থেকে। প্রয়াণের আট দশক পর তাঁর গানের এমন একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হচ্ছে যেখানে তাঁর ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ গাওয়া হচ্ছে কুড়মালি উপভাষায়: ‘আঝু বাংলা মুলুক ছতিআলে’। তাঁর মোট ছ’টি গানকে কুড়মালিতে অনুবাদ করেছেন পুরুলিয়ার ঝুমুর কবি সুনীল মাহাতো। স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে যন্ত্রানুষঙ্গ তৈরি করেছেন ঝুমুর শিল্পী মিহির লাল সিংহ দেও, আর গেয়েছেন তাঁরই শিষ্য ভাস্কর রায়। এই অভূতপূর্ব প্রয়াসটি সম্ভব করে তুলেছে বাংলানাটক ডট কম মিউজিক্যাল। ২১ জুন বিশ্ব সংগীত দিবসে বিকেল সাড়ে ৫টায় বৈতানিকে আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ‘কুড়মালিতে রবীন্দ্রগান’ অ্যালবামটির। অন্য দিকে অহীন্দ্র মঞ্চে ২৩ জুন সন্ধে ৬টায় এস এন বি ফাউন্ডেশনের অন্তর্গত ঋতছন্দ-এর শ্রদ্ধার্ঘ্য সৌম্যেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী-র উদ্দেশে। তাঁর সাধনা ও কর্মযজ্ঞের উপর নির্মিত তথ্যচিত্র ‘আলোর পথযাত্রী’র পাশাপাশি সে সন্ধ্যায় কত্থক শিল্পী অসীমবন্ধু ভট্টাচার্যের নির্দেশনায় নৃত্যানুষ্ঠান ‘আনন্দম্’। আর দুই তরুণ সংগীত শিল্পী সৌম্যজিৎ ও সৌরেন্দ্রর নিবেদন ‘রাজাধিরাজ হে’। আবার এই দুই তরুণের উদ্যোগেই ২১ জুন বিশ্ব সংগীত দিবসে সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে সন্ধে সাড়ে ৬টায় ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক কনসার্ট’-এ পার্বতী বাউল, রুনা লায়লা, রাশিদ খান, রেখা ভরদ্বাজ, মিরিয়ং হল। ‘বিশ্ব সংগীতের বিভিন্ন ধারার সমাহারের অভিপ্রায়েই এই অনুষ্ঠান’, জানালেন তরুণদ্বয়।

চার দশক

১৯৭২-এ স্কটিশ চার্চ কলেজে বাংলা নিয়ে পার্ট টু পড়াকালীন একদিন ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে গিয়ে দেখি বাংলা বিভাগের বাইরে বেশ কয়েকটা বান্ডিলে বাঁধা স্তূপীকৃত লিটল ম্যাগাজিন। বিভাগীয় প্রধানকে প্রশ্ন করায় উনি বললেন লিটল ম্যাগাজিন আবার বই কবে হল তাই বাতিল বান্ডিল। শুনে জিদের বশে সেই বছরেই ১৮/এম টেমার লেনে পৈতৃক বাড়ির একতলায় প্রবেশ কক্ষ সহ তিনটি ঘরে ৭৫০টি সাময়িকপত্র নিয়ে প্রদর্শনী করে ফেললাম’, স্মৃতি রোমন্থন করছিলেন মির্জাপুর সিটি কলেজ স্কুলের প্রাক্তন বাংলা শিক্ষক সন্দীপ দত্ত (সঙ্গের ছবি)। ’৭৭-এ স্কুলে পার্টটাইমে মাসিক ১০০ টাকা ও ‘লোকসেবক’ পত্রিকায় ট্রেনি হিসেবে পেতেন ৫০ টাকা, আর বাড়ির লক্ষ্মীর ভাঁড়ে জমানো খুচরো পয়সা সম্বল করে ’৭৮-এর ২৩ জুন প্রতিষ্ঠা হল ‘লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র’। ’৮৬তে নির্দিষ্ট শ্রোতা তৈরি করতে কবি গল্পকার পাঠকদের নিয়ে পাঠাগারে আয়োজিত হল আলোচনা সভা। ’৯৬-এ রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পর লাইব্রেরির নামের আগে ‘কলকাতা’ যুক্ত হল। বহু বিশিষ্টজন এখানে এসেছেন। বর্তমানে আশি হাজার বইয়ের মধ্যে ১৪৬০টি ডিজিটাইজড হয়েছে। এখন রয়েছেন ১৭০ জন আজীবন সদস্য। ২৩ জুন বিকাল ৫.৩০-এ চল্লিশ বর্ষ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে গোপা দত্তভৌমিক ‘বাংলা সাময়িকপত্রের দ্বিশত বর্ষ ও লিটল ম্যাগাজিনের পথ চলা’ শীর্ষকে বলবেন পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমিতে।

গণতন্ত্রের রহস্য

শিক্ষকতা থেকে অনুবাদের কাজ, কবিতা লেখা থেকে সাংবাদিকতা— কী না করেছেন তিনি! ‘ফ্রন্টিয়ার’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক সমর সেন লিখেছেন বাবু বৃত্তান্ত-র মতো ঋজু গদ্য, তিন পুরুষ-এর মতো কবিতাবই। কলমে যেমন, রোজকার চর্যাতেও ছিলেন আপসহীন, সটান। এ বছর তাঁর প্রয়াণের ত্রিশ বছর, ভারতীয় সংগ্রহশালা ও অনুষ্টুপ আয়োজন করেছে ‘সমর সেন স্মারক বক্তৃতা ২০১৭’। এ বারের বক্তা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্যের শিক্ষক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। প্রথিতযশা সাহিত্য সমালোচক ও তাত্ত্বিক গায়ত্রীর প্রিয় ক্ষেত্র উনিশ ও বিশ শতকের সাহিত্য-সংস্কৃতি, এ দিনের অনুষ্ঠানে বলবেন ‘গণতন্ত্রের রহস্য’ বিষয়ে। সভামুখ্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এমেরিটাস অধ্যাপক সুপ্রিয়া চৌধুরী। ২৪ জুন বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ভারতীয় সংগ্রহশালার আশুতোষ শতবার্ষিকী হল-এ।

চলচ্চিত্রে রবীন্দ্রগান

বাংলা ছবির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের গানের প্রায় অচ্ছেদ্য গ্রন্থি। আজও বাংলা ছবিতে ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয় তাঁর গান। সিনেমায় রবীন্দ্রগানের সেই অভিনিবেশকে নতুন ব্যঞ্জনায় প্রাসঙ্গিক করে তুললেন প্রবুদ্ধ রাহা। বেরিয়েছে তাঁর অ্যালবাম ‘চলচ্চিত্রে রবীন্দ্রসংগীত’ (ভাবনা), এতে তাঁর গাওয়া দশটি গানের মধ্যে ‘বিপুল তরঙ্গ রে’ (পারমিতার একদিন) আর ‘আজি কমলমুকুলদল’ (বেঁচে থাকার গান) আগেই প্লেব্যাক হয়েছে। দুবাইয়ের পর দিল্লিতেও আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হল অ্যালবামটির।

বারো বছর

বাইরের পৃথিবীতে পা রাখা, পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করা... রবীন্দ্রনাথের শেষ উপন্যাস চার অধ্যায়-এ (১৯৩৪) ‘এলা বা নতুন যুগের মেয়েদের কবি এ ভাবেই দেখতে চাইছিলেন তখন।’ বলছিলেন পৌলমী বসু, সন্দর্ভ নাট্যগোষ্ঠীর নতুন প্রযোজনা ‘চার অধ্যায়’-এ তিনি এলার চরিত্রে, ‘বড় আদর্শের সঙ্গে যেমন নিজেকে যুক্ত করে নিচ্ছে এলা, তেমনই প্রতিটি মানুষকে, প্রাত্যহিকের মুহূর্তগুলিকেও ভালবাসছে। আদর্শের পাশাপাশি ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতিও তার কাছে সমান জরুরি। এলার এই মানবিক দিকটাই আমাকে অসম্ভব টানে।’ পৌলমীর প্রথম মঞ্চাভিনয় ফ্রান্সে, সহকর্মী ও স্বামী ব্রাত্য বসুর রচনা-নির্দেশনায় ‘বাবলি’ নাটকে, বারো বছর আগে। এর পর কলকাতায় তাঁর অভিনয়ে উজ্জ্বল— রুদ্ধসংগীত, সিনেমার মতো, কে, একুশ গ্রাম, মেঘে ঢাকা তারা, বোমা— ব্রাত্যর পরিচালনায়; অর্পিতা ঘোষ প্রমুখের পরিচালনায়— দুটো দিন, চিরকুমার সভা, অশালীন, ইহাই সত্য। শুরুতে অভিনয় নিয়ে অনিশ্চিত ছিলেন, কিন্তু আজ ‘আমার জীবনটা অভিনয়ই নিয়ন্ত্রণ করে’, জানালেন পৌলমী। ব্রাত্যর নাট্যরূপে দেবাশিস রায়ের নির্দেশনায় অ্যাকাডেমিতে ২৭ জুন সন্ধে সাড়ে ৬টায় ‘চার অধ্যায়’, অন্য মুখ্য চরিত্রে বাবু দত্তরায় ও দেবশঙ্কর হালদার।

Kolkatar Korcha
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy