বব্লু লাইনে শুক্রবার চলবে না রাতের শেষ মেট্রো। অর্থাৎ, দমদম এবং শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন থেকে রাত ১০ টা ৪০ মিনিটে শেষ যে মেট্রো ছাড়ে, শুক্রবার সেই পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়ে দিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যদিও কী কারণে এই সিদ্ধান্ত, তা সরকারি ভাবে জানাননি তাঁরা।
তবে অনেকের মত, শুক্রবার দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কর্মসূচি রয়েছে। মেট্রোর তিনটি পথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার প্রয়োজনেই মেট্রো কর্মীদের বিভিন্ন স্টেশনে দায়িত্ব সামলাতে যেতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নানা রকম ব্যস্ততা এবং ওই সংক্রান্ত অসুবিধার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যদিও এই দাবির আনুষ্ঠানিক সমর্থন মেলেনি মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিহারে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস সেরে প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে আসবেন। বিকেল ৪টে নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁর নামার কথা। সেখান থেকে প্রথমে যাবেন নবনির্মিত যশোহর রোড মেট্রো স্টেশনে। ইয়েলো লাইনের (নোয়াপাড়া-বারাসত) নোয়াপাড়া থেকে জয়হিন্দ বিমানবন্দর অংশে মেট্রো চলাচলের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন তিনি। সেখান থেকেই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে অরেঞ্জ লাইনের (নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর) হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন (রুবি) থেকে বেলেঘাটা স্টেশন এবং গ্রিন লাইনের (সেক্টর ফাইভ-হাওড়া ময়দান) এসপ্ল্যানেড স্টেশন থেকে শিয়ালদহ স্টেশন অংশে মেট্রো চলাচলের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন। তার পরে যশোহর রোড স্টেশন থেকে মেট্রো চড়ে তিনি জয়হিন্দ বিমানবন্দর স্টেশন পর্যন্ত যাবেন। আবার মেট্রোতেই যশোহর রোড ফিরবেন। তার পরে সড়কপথে যাবেন সভাস্থলে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানিয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী ৫২০০ কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন। দমদমে জনসভা শুরুর আগে প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী শিলান্যাস করবেন ছয় লেনের এলিভেটেড কোনা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের। ৭.২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরিতে ১২০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।