প্রতীকী ছবি।
নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে শিক্ষকদের পাঠদান কেমন হবে, কী ভাবে নতুন নতুন পাঠ্যক্রম পড়াতে হবে, সে জন্য সিআইএসসিই বোর্ডের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনলাইন প্রশিক্ষণ শুরু হল। কেন্দ্রের সর্ব শিক্ষা প্রকল্পের ‘দি ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ ফর স্কুল হেডস অ্যান্ড টিচার্স হোলিস্টিক অ্যাডভান্সমেন্ট’ কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই প্রশিক্ষণ শুরু হল চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে।
সিআইএসসিই বোর্ডের সচিব জেরি অ্যারাথুন প্রতিটি স্কুলে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই অনলাইন প্রশিক্ষণে যোগ দিতে বলেছেন। প্রাক্ প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরে জাতীয় শিক্ষানীতিতে বেশ কিছু বদলের প্রস্তাব আনা হয়েছে। তা কার্যকর হলে শিক্ষার্থীরানিজেদের যোগ্যতা কাজে লাগিয়ে আরও বেশি করে পছন্দের পেশাবেছে নেওয়ারও সুযোগ পাবে বলে কেন্দ্রের দাবি। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাথমিকে মাতৃভাষায় পড়াশোনায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনকি কে, কোন বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে পড়াশোনা করতে চায়, নবম শ্রেণি থেকেই সেই সুযোগও দেওয়া হবে পড়ুয়াদের।
যদিও এই শিক্ষানীতির বিরোধিতা করেছে কিছু রাজ্য। নয়া শিক্ষানীতির বেশ কিছু অংশ নিয়ে তাদের আপত্তির বিষয়টি রাজ্যের শিক্ষা দফতরও জানিয়েছে। যদিও সিআইএসসিই বোর্ডের প্রধান শিক্ষকদের মতে, জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর হলে পড়ানোর পদ্ধতি অনেকটাই বদলে যাবে। তাই প্রশিক্ষণ আগে নেওয়া জরুরি মনে করছেন তাঁরা।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই প্রশিক্ষণ নেবেন। প্রতিটি পাঠ্যক্রম তিন থেকে চার ঘণ্টার অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে বোঝানো হবে। প্রশিক্ষণে নাম নথিভুক্ত করার শেষ তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০২৩। যার শেষে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মূল্যায়ন করা হবে। যাঁরা ৭০ শতাংশের উপরে নম্বর পাবেন, তাঁদের কোর্সের শেষে একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের মতে, এই ধরনের কোর্স খুবই উপযোগী। পেশায় আসার আগে শিক্ষকেরা বিএড-এর প্রশিক্ষণ নেন। কিন্তু পরে তাঁদের আর সে ভাবে প্রশিক্ষণ হয় না। অথচ পাঠ্যক্রম বদলানোর পাশাপাশি পড়ানোর অনেক পদ্ধতির পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে এই অনলাইন প্রশিক্ষণ কাজে আসবে বলেই মত অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy