বিবেকানন্দ উড়ালপুলের জন্য খরচ হয়ে গিয়েছে ১০০ কোটির বেশি। লক্ষমাত্রা ছিল আড়াই বছর। পেরিয়েছে ৬ বছর। চার বার পিছিয়েছে সময়সীমা। অসম্পূর্ণ কাজের জন্য এক দিকে বেড়ে চলেছে প্রস্তাবিত ব্যয়। অন্য দিকে, ভোগান্তি হচ্ছে উত্তর ও মধ্য কলকাতার বহু যাত্রীর। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে বকেয়া কাজ দ্রুত শেষ করাতে রাস্তায় সমীক্ষায় নামেন কেএমডিএ কতার্রা। পুলিশকতার্দের নিয়ে অকুস্থল ঘুরে দেখেন। কথা বলেন পুরসভার সঙ্গেও।
২০০৯-এর ২৪ অগস্ট শুরু হয় উড়ালপুলের কাজ। এটি সম্পূর্ণ হলে উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশ ও বিধাননগর এবং সংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা সরাসরি হাওড়ায় যাতায়াতের সুযোগ পাবেন। চাপ কমবে মধ্য কলকাতার নানা রাস্তায়। সাত মিটার চওড়া ও ২.২ কিমি দীর্ঘ এই প্রকল্পে ১৬৪ কোটি টাকা খরচ হওয়ার কথা ছিল। ঠিক হয় ২০০৯-এর ২৪ অগস্টে কাজ শেষ হবে। পরে লক্ষমাত্রা পিছিয়ে ২০১২-র মার্চ, পরে ২০১৩-র ডিসেম্বর, ’১৪-র জুন এবং ’১৫-র ৩১ মে করা হয়। এই অবস্থায় ফের রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে লক্ষমাত্রা ধার্য হয়েছে আগামী ডিসেম্বর। সমস্যা খতিয়ে দেখে জট খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কেএমডিএ কর্তারা প্রকল্পের বিভিন্ন অংশ খতিয়ে দেখেন। চিফ ইঞ্জিনিয়ার পরিতোষ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বড়বাজারে কিছু অংশে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। ডিসি (ট্রাফিক-১)-এর সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখলাম। কিছু অংশে কাজ করা যাচ্ছে না পুরসভার ভূগভর্স্থ জলের পাইপ থাকায়। তা সরানো নিয়ে কথা হয়েছে।’’ তিনি জানান, পুরনো টাঁকশালের পাশে কাজের জন্য বন্দর-কতৃর্পক্ষের সহযোগিতা দরকার। কথা চলছে ওঁদের সঙ্গেও।
কাজে দেরির পিছনে বাম আমলে পরিকল্পনার অভাবের অভিযোগ এনেছেন পুরমন্ত্রী ববি হাকিম। তাঁর দাবি, ‘‘এলাকার বেশ কিছু ব্যবসায়ী সমস্যার অভিযোগ তুলছিলেন। আমরা দফায় দফায় ওঁদের বুঝিয়েছি। অন্য জটও কাটিয়ে তুলছি।’’ এ কথা মানতে চাননি সিপিএমের এ বারের অন্যতম পুরপ্রার্থী, প্রাক্তন সাংসদ সুধাংশু শীল। তিনি বলেন, ‘‘আমিই তো দিল্লিতে তদ্বির করে জেএনএনইউআরএম-এর ছাড়পত্র আনিয়েছিলাম। ব্যবসায়ীদের বিকল্প জায়গার রূপরেখাও আমরাই তৈরি করি।’’ কাজে দেরির জন্য খরচ কত বাড়ল? চিফ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘‘এটা নিয়ে আমরা একেবারেই মাথা ঘামাচ্ছি না। ৭১ শতাংশ কাজ হয়েছে। এখনযত দ্রুত হোক শেষ করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy