প্রতীকী ছবি।
রান্নাঘরে ব্যস্ত ছিলেন বধূ। হঠাৎই পাঁচিলের ও পার থেকে গায়ে এসে পড়ল অ্যাসিড। মঙ্গলবার দুপুরে মানিকতলা মেন রোডের এই ঘটনায় আক্রান্ত বধূ লীনা সেনগুপ্তের স্বামী প্রবীর সেনগুপ্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ৩১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বাপের বাড়িতে রান্না করার সময়ে লীনাদেবীকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোড়া হয়। অ্যাসিডে তাঁর বাঁ চোখ এবং ঘাড়ের কিছুটা অংশ পুড়ে যায়। তড়িঘড়ি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পেশায় বাস কন্ডাক্টর প্রবীর মাদকাসক্ত। দীর্ঘ দিন ধরে স্ত্রীকে নিয়ে একই পাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে থাকত সে। তবে মদ্যপান নিয়ে শাশুড়ি ও স্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত প্রবীরের। লীনাদেবীর মা যশোদা সাউয়ের অভিযোগ, ‘‘মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করলে গত রবিবার জামাই মেয়েকে মারধর করে। সেই দিনই প্রবীরকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলাম।’’ তাঁর অভিযোগ, এর প্রতিশোধ নিতেই স্ত্রীর উপরে অ্যাসিড হামলা চালিয়েছে প্রবীর। আর আক্রান্ত লীনাদেবী বলছেন, ‘‘ভাগ্যিস বাইরের দরজা বন্ধ ছিল। তাই পাঁচিলের ওপার থেকে অ্যাসিড ছোঁড়ায় পুরোপুরি এসে পড়েনি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া একটি অ্যাসিডের বোতল ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
খাস কলকাতার বুকে অ্যাসিড হামলার ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। মাস তিনেক আগে হরিশ চ্যাটার্জি রোডে চলন্ত ট্যাক্সি থেকে ছোড়া অ্যাসিডে আহত হয়েছিলেন তিন জন। শহরে একাধিক অ্যাসিড হামলার ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, অ্যাসিড বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় না কেন। এ বিষয়ে লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘শহরে অ্যাসিড বিক্রির উপরে নজরদারি যথাযথই চলে। মঙ্গলবারের ঘটনায় অভিযুক্ত অ্যাসিড কোথা থেকে পেলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy