প্রতীকী ছবি
প্রেমিকের সঙ্গে মিলে নিজের সাত বছরের মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হল এক মহিলা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রের খবর, এসএসকেএম হাসপাতালের স্ত্রীরোগ চিকিৎসক ওই মহিলার সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা চলছে তাঁর স্বামীর। বুধবার রাতে তিনিই স্ত্রীর বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে মহিলা ও তাঁর পরিবারের দাবি, পুজোর জন্য ধূপ জ্বালাতে গিয়ে অসাবধানতায় নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল ওই নাবালিকা। তার মা সেই সময়ে এসএসকেএমে কাজ করছিলেন।
গত শনিবার ওই শিশুটিকে দুপুরে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় প্রথমে বোড়ালের একটি ও পরে এলগিন রোডের আর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শিশুটির শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। আরও ৪৮ ঘণ্টা না কাটলে কিছুই বলা সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই তার দু’টি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে, পুলিশ এখনও ওই শিশুর জবানবন্দি নেয়নি। পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য-প্রমাণের পাশাপাশি সে যে আয়ার কাছে থাকত, তাঁকে ও তাদের আবাসনের দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
শিশুটির বাবা উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা। পেশায় শিশুরোগ চিকিৎসক। ওই চিকিৎসকের দাবি, “২০১৩ সালে মেয়ে হয়। তার পরে এক দিন এক যুবকের সঙ্গে আমার স্ত্রীর সম্পর্কের কথা জানতে পারি। তা নিয়ে ঝামেলা চরমে ওঠে। এর পরে একাধিক ব্যক্তিকে ঘিরে সমস্যা তৈরি হয়। এ সব প্রকাশ্যে আসতেই আমার শ্বশুর আসরে নামেন। আমাকে বাড়ি এবং মেয়ে-ছাড়া করা হয়।”
ওই চিকিৎসকের দাবি, শ্বশুরের জন্যই তাঁকে কলকাতা ছেড়ে উত্তরবঙ্গে ফিরে গিয়ে কাজ শুরু করতে হয়েছে। একাধিক মিথ্যে মামলাতেও ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে তাঁকে। এর মধ্যেই গত বছরের অগস্টে তাঁর স্ত্রী বিবাহ-বিচ্ছেদের চিঠি পাঠান। সেই মামলা চলছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর মেয়ের জীবনের ঝুঁকির কথা জানিয়ে নরেন্দ্রপুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে হোয়াটসঅ্যাপ করেছিলেন তিনি।
অভিযুক্ত মহিলা ফোনে বলেন, ‘‘ঘটনার সময়ে আমি যে হাসপাতালে ছিলাম, সেখানকার হাজিরা খাতাই তার প্রমাণ। এই সংক্রান্ত সমস্ত প্রমাণ আমার কাছে আছে।’’ তাঁর বাবার দাবি, “বাড়িতে নাতনি একা ছিল। পুজোর ধূপ জ্বালাতে গিয়ে পোশাকে আগুন ধরিয়ে ফেলেছে।”
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত মহিলা ওই সময়ে সত্যিই হাসপাতালে ছিলেন কি না, দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে অন্য কেউ ঢুকেছিলেন কি না, তা জানতে আবাসনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চাওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy