দিন দিন যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে। কিন্তু স্টেশন থেকে বাইরে বেরোনোর গেট সেই তুলনায় কম। ফলে নাজেহাল হচ্ছেন মেট্রোর নিত্যযাত্রীরা। প্রতিদিনই ব্যস্ত সময়ে দীর্ঘ লাইনে আটকে পড়ছেন যাত্রীরা। যে সমস্ত স্টেশনে যাত্রী বেশি হয়, সেই সব জায়গায় এই সমস্যায় মাঝেমধ্যেই বেধে যাচ্ছে গোলমালও।
মেট্রো সূত্রে খবর, চাঁদনি চক, রবীন্দ্রসদন, সেন্ট্রাল, মহাত্মা গাঁধী রোড, শোভাবাজার ও কালীঘাটে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি। এক এক দিন গোলমাল এতই বাড়ছে যে তা সামাল দিতে নাজেহাল হতে হচ্ছে মেট্রোকর্মীদেরও। মেট্রোর স্টেশন ম্যানেজারদের একাংশ ইতিমধ্যেই বিষয়টি মেট্রো ভবনের কর্তাদের গোচরে এনেছেন।
মেট্রো সূত্রে খবর, ২০১১ সালে ২৮০টি আধুনিক অটোমেটিক ফেয়ার কালেকশন প্যাসেঞ্জার কন্ট্রোল গেট বসানো হয়। যে স্টেশনে বেশি যাত্রী, সেখানে বেশি গেট ও যেখানে তুলনায় কম যাত্রী, সেখানে কম গেট বসে। সেই মতো দমদমে ৩৩টি, এসপ্ল্যানেডে ২২টি, সেন্ট্রাল স্টেশনে ১১টি, শোভাবাজারে ১০টি, টালিগঞ্জে ১৬টি গেট রয়েছে। ২০১১— ২০১৭ সালের মধ্যে মেট্রোর গেটের সংখ্যা আর বাড়েনি। অথচ প্রতিদিনই যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। মেট্রোর এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, শীতে এই আধুনিক গেটগুলি কম খারাপ হয়, গরমে এই গেটগুলি মাঝেমধ্যেই খারাপ হয়ে যায়। স্টেশন মাস্টারদের এবং মেট্রোকর্মীদের কাছে নিয়মিত যাত্রীরা অভিযোগ করেন। প্রতিটি মিটিংয়ে আমরা মেট্রো কর্তৃপক্ষকে এই সমস্যার কথা বলছি।’’
মেট্রো সূত্রে খবর, ইদানীং চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনে দেখা যাচ্ছে অফিসের ব্যস্ত সময়ে যাত্রীদের মধ্যে রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি লেগে যাচ্ছে। দু’দিক থেকে দু’টি ট্রেন একসঙ্গে দু’টি প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়ালে এসক্যালেটার থেকে বেরিয়ে টিকিট গেটের সামনে আসতেই সমস্যা হচ্ছে। হচ্ছে ধাক্কাধাক্কিও। একই অবস্থা রবীন্দ্র সরোবরেও।
মেট্রোয় যাতায়াত করেন দমদমের সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘চাঁদনি চক স্টেশনে একসঙ্গে দু’টি ট্রেন ঢুকলেই যাত্রীদের মধ্যে ধাকাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। এসক্যালেটার থেকে ওঠাই দায় তখন। কারণ, গেট দিয়ে বেরোনোর জন্য যাত্রীদের লম্বা লাইন এসক্যালেটর পর্যন্ত চলে আসে। এসক্যালেটর থেকে নামাই যায় না।’’ বেরোনোর লম্বা লাইনে ধাক্কাধাক্কি সেন্ট্রাল, শোভাবাজার, রবীন্দ্রসদন স্টেশনেও নিয়মিত ঘটনা। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অবশ্য তেমন কোনও সমাধানের আশা মেলেনি মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গেটের সংখ্যা কম বলে আমি কিছু শুনিনি। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দেখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy