Advertisement
E-Paper

তৎপর মোটরম্যান, প্রাণে বাঁচলেন মহিলা

মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দিলে যাতে মৃত্যু না হয়, সে জন্য প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে মোটরম্যানদের বিশেষ সর্তক থাকতে বলা হয়েছিল। তার ফলও মিলল। বৃহস্পতিবার ফের এক মহিলাকে বাঁচালেন মোটরম্যান। গত মঙ্গল ও বুধবার যে দু’জন ঝাঁপ দেন, তাঁদেরও বাঁচিয়েছিলেন মোটরম্যানেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৬ ০০:৪৭

মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দিলে যাতে মৃত্যু না হয়, সে জন্য প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে মোটরম্যানদের বিশেষ সর্তক থাকতে বলা হয়েছিল। তার ফলও মিলল। বৃহস্পতিবার ফের এক মহিলাকে বাঁচালেন মোটরম্যান। গত মঙ্গল ও বুধবার যে দু’জন ঝাঁপ দেন, তাঁদেরও বাঁচিয়েছিলেন মোটরম্যানেরা।

মেট্রো সূত্রে খবর, এ দিন পৌনে চারটে নাগাদ এসপ্ল্যানেডে কবি সুভাষমুখী ট্রেন ঢোকার সময়ে এক মহিলা লাইনে ঝাঁপ দেন। মোটরম্যান সতর্কই ছিলেন। ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দেন তিনি। তবে একটি কামরা ওই মহিলার উপর দিয়ে চলে যায়। কিন্তু তিনি দু’টি লাইনের মাঝে পড়ায় দেহ চাকায় কেটে যায়নি। বেঁচে যান ওই মহিলা। তাঁর আত্মহত্যার চেষ্টার জেরে ফের বিঘ্ন ঘটে পরিষেবায়। প্রায় ৪০ মিনিট মহাত্মা গাঁধী রোড থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো বন্ধ ছিল। সে সময়ে ট্রেন চলেছে দমদম থেকে গিরিশ পার্ক ও কবি সুভাষ থেকে ময়দান।

এ বছর এখনও পর্যন্ত মোট ১৩ জন মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়েছেন। তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। বাঁচানো হয়েছে ৯ জনকে। বারবার মেট্রোয় ঝাঁপ দেওয়ার প্রবণতা কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। প্রতি ক্ষেত্রেই ভুগছেন সাধারণ যাত্রীরা। উদ্ধারকাজ শেষ করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে এক ঘণ্টা। পাশাপাশি, বিপুল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে মেট্রোরও। মেট্রো কর্তারা বলছেন, আচমকা ট্রেনের সামনে কেউ ঝাঁপ দিলে মোটরম্যানদের মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। মেট্রো পুলিশ জানায়, ওই মহিলাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের জন্য পুলিশ তাঁর নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলেও মহিলা কিছু বলতে চাননি।

Metro Suicide Motorman
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy