প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব বাংলার প্রাণকেন্দ্র নিউ টাউন শুধুই দু’পেয়েদের জন্য! চার পেয়েদের অবাধ বিচরণ সেখানে নিষিদ্ধ! অন্তত সরকারের নতুন বিল তেমনই বলছে!
গরু, ঘোড়া, মোষ, শুয়োর বা কুকুর— চার পায়ের যে কোনও প্রাণী রাখতে গেলেই এখন থেকে লাইসেন্স লাগবে নিউ টাউনে। পাখি পুষতে গেলেও একই শর্ত। পয়সা দিয়ে লাইসেন্স শুধু নিলেই হল না। কড়া শর্ত আছে। লাইসেন্স নেওয়া পশু বা পাখি যদি বেয়াড়া আচরণ করে, নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনকেডিএ) চেয়ারম্যান চিঠি পাঠিয়ে মালিকের কাছে জবাবদিহি চাইবেন— লাইসেন্স কেন বাতিল হবে না?
বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর আনতে চলেছে ‘দ্য নিউ টাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটি (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৮’। বিলে বলা হয়েছে, নিউ টাউনের বহু প্লট এখনও ফাঁকা পড়ে আছে। আশেপাশের মফস্সল বা গ্রামীণ এলাকা থেকে অনেকেই গবাদি পশুদের নিউ টাউনে ছেড়ে দেন চরে বেড়ানোর জন্য। তারা শুধু ফাঁকা জমিতেই ঘোরে না, যখন তখন রাস্তায় নেমে আসে। যেখানে সেখানে তারা নোংরা করে, এলাকায় স্বাস্থ্য বিভ্রাটের কারণ হয় এবং রাস্তায় দুর্ঘটনা ডেকে আনে। বিশেষত, বিশ্ব বাংলা সরণি ধরে নিউ টাউন যখন গতিশীল হচ্ছে, সেই সময়ে পশুজনিত দুর্ঘটনার আশঙ্কা সরকারকে ভাবিয়ে তুলছে।
বিলে নিদান দেওয়া হয়েছে, যেখানে সেখানে অবাধে পশুদের ঘুরে বেড়াতে দেখলে এনকেডিএ তাদের আটক করে নিয়ে যাবে। ধরে নিয়ে যাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে পশুদের মালিক উপযুক্ত প্রমাণ দেখিয়ে এবং গুণাগার দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে আনতে পারবেন। আর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনও দাবিদার না থাকলে আটক করা পশু-পাখিদের নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার সংস্থান থাকছে বিলে।
পুর দফতরের বক্তব্য, নিউ টাউনে পশু এবং মানুষ, উভয়ের নিরাপত্তার জন্যই কিছু বিধিনিষেধ জারি হওয়া প্রয়োজন। পশু-পাখিদের মাধ্যমে রোগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, নজর রাখতে হচ্ছে সে দিকেও। তবে বিরোধী শিবিরের এক বিধায়কের সরস মন্তব্য, ‘‘আগে খাটাল উচ্ছেদ হতো। এখন পশুদেরই উচ্ছেদ হচ্ছে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy