বিপজ্জনক বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা পুর আইনে আগে থেকেই ছিল। কিন্তু সেই ধারা প্রয়োগ করেনি পুর প্রশাসন। এ বার সেই ধারার সাহায্য নিয়েই বিপজ্জনক বাড়ি খালি করবে পুর প্রশাসন। মঙ্গলবার পুরভবনে বিল্ডিং দফতরের পদস্থ ইঞ্জিনিয়ার, আবাসন দফতর, পুলিশ, দমকল ও নগরোন্নয়ন দফতরের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকের পরে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিল্ডিং আইনের ৪১১ ধারায় বিপজ্জনক বাড়িতে নোটিস লাগিয়েছে পুরসভা। তবে ৪১২ ধারায় বাসিন্দাদের বিপজ্জনক বাড়ি থেকে সরানোর যে ক্ষমতা আছে, তা প্রয়োগ করা হতো না। এখন ওই ধারা প্রয়োগ করার সময় এসেছে।’’ একই সঙ্গে বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে মালিক-ভাড়াটে মামলা ও শরিকি বিবাদ মেটাতে নতুন আইন করার পথে পুরসভা এগোচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মেয়র জানান, শহরে বিপজ্জনক বাড়ি রাখতে চান না মুখ্যমন্ত্রী। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই পুরসভায় শহরের বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে হাজির রাজ্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান তথা বিচারপতি প্রণবকুমার চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি হয়েছে। আইনি জটিলতা কাটিয়ে সমাধানের পথ বের করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ওই কমিটিকে। ওই কমিটির পাঠানো খসড়া রিপোর্ট পুরসভায় জমা পড়েছে।
পুরসভা জানায়, এ দিন ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে ওই খসড়া রিপোর্ট ধরে আলোচনা হয়েছে। তাতে কিছু সংযোজন করে আগামী সপ্তাহে ফের তা পুনর্বিবেচনার জন্য আইন কমিশনের কাছে পাঠানো হবে। মেয়রের দাবি, দিন পনেরোর মধ্যে পুর প্রশাসন বিপজ্জনক বাড়ির স্থায়ী সমাধানের রূপরেখা তৈরি করতে পারবে। রিপোর্ট চূড়ান্ত হলেই পুরসভার মেয়র পরিষদের বৈঠক এবং অধিবেশনে তা পাশ করে বিল হিসেবে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে।
এ দিনও মেয়র জানান, বিপজ্জনক বাড়ির সমাধানে মূল জোর দেওয়া হবে ‘অকুপায়ার’দের উপর। অর্থাৎ বর্তমানে যাঁরা সেই বাড়িতে বাস করছেন তাঁরাই হবেন অকুপায়ার। বাড়ির মালিককে প্রথমে বাড়ি ভেঙে তা নতুন করে গড়ার সুযোগ দেওয়া হবে। নতুন নির্মাণের ক্ষেত্রে তৃণমূল সরকারের আমলে লাগু হওয়া বিল্ডিং রুলের ১৪২ ধারায় জমির সম শতাংশ ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর) পাবে নির্মাণকারী। বাড়ির মালিক অপারগ হলে ভাড়াটেদের সেই সুযোগ দেওয়া হবে। তারাও অনিচ্ছুক হলে পুরসভা বিষয়টি নিজেদের হাতে নেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy