Advertisement
০৮ মে ২০২৪

মৃত্যুর সাত মাস পরে খুনের মামলা

এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর সাত মাস পরে খুনের অভিযোগ দায়ের করল পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:০৬
Share: Save:

এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর সাত মাস পরে খুনের অভিযোগ দায়ের করল পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ২০১৬-র ২৫ জুন কসবার ডক্টর জিএস বসু রোডে নারায়ণ যাদব নামে এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ মেলে। প্রথমে মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ দায়ের না হলেও ৩১ জানুয়ারি তাঁর স্ত্রী শর্মিলা যাদব থানায় ১০ জনের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তেরা সকলেই নারায়ণের আত্মীয়। স্ত্রীর অভিযোগ, সম্পত্তির লোভেই নারায়ণকে খুন করা হয়।

পুলিশ খুনের মামলা দায়ের করলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশের দাবি, অভিযোগের স্বপক্ষে প্রাথমিক ভাবে প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু এত দিন পরে কেন অভিযোগ দায়ের হল? শর্মিলার ফোন বন্ধ থাকায় এ দিন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পুলিশ জানায়, নারায়ণের মৃত্যুর সময়ে শর্মিলা বাপের বাড়িতে ছিলেন। শর্মিলার অভিযোগ, নারায়ণের পরিবার তাঁকে মৃত্যুর খবর জানায়নি। তিনি পুলিশের কাছে সব জানতে পারেন। তাঁর দাবি, প্রতিবেশীরা তাঁকে জানান, যে ঘর থেকে নারায়ণের দেহ মেলে, সেখানে তাঁর আত্মহত্যার প্রমাণ ছিল না। আরও দাবি, বিয়ের পর থেকে পরিজনেরা তাঁকে বিরক্ত করতেন। তা নিয়ে ২০১৫-এ তিনি অভিযোগও দায়ের করেন। ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে পুলিশের কাছে স্বামীর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করেন শর্মিলা। পুলিশ কিছু করছে না জানিয়ে তিনি জানুয়ারিতে এক পুলিশকর্তার দ্বারস্থ হন ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জেনেছে, শর্মিলার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির সম্পর্ক ভাল ছিল না। সন্তান হওয়ার পর থেকে বাপের বাড়িতে থাকতেন তিনি। পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের জেরায় পুলিশের অনুমান, নারায়ণ আত্মঘাতী হন। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেও সেই ইঙ্গিত মেলে। এক পুলিশকর্তা জানান, পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Murder case Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE