সেই ঘর। ছবি: বিতান ভট্টাচার্য।
ছোট্ট একটা ঘর। কোনও এক সময়ে গারদ ছিল। পলেস্তারা খসা নোয়াপাড়া থানার সেই ঘরটি সেজে ওঠে বছরে একটি দিন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয় সেখানে। তা দেখতে জমে ওঠে ভিড়। সেই ঘরের মেঝেতে এখন সাদা টাইলস। লোহা সরিয়ে বসেছে বাদামি রঙের কাঠের দরজা।
১৯৩১ সালের ১১ অক্টোবর সুভাষচন্দ্র বসুকে আটকে রাখা হয়েছিল ওই ঘরে। টানা ৩১ ঘণ্টা গারদে বন্দি থাকার পর দাদা শরৎচন্দ্র ভাই সুভাষের সঙ্গে দেখা করতে যান। অপরাধ ছিল, বঙ্গীয় পাটকল শ্রমিক সম্মেলনে ভাষণ দিতে সুভাষচন্দ্র জগদ্দলের গোলঘরে যাচ্ছিলেন। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের খেপিয়ে তোলার আশঙ্কায় তৎকালীন নোয়াপাড়া থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর ম্যাকেঞ্জি সুভাষকে ঘোষপাড়া রোড থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আটকে রাখেন ওই ঘরে। জগদ্দলে আসবেন না এই মুচলেকা দিয়ে জামিন পেতে হয়েছিল সুভাষ বসুকে।
স্বাধীনতার পর থেকে পুলিশের উদ্যোগেই প্রতি বছর তাঁর জন্মদিনে ঘরটি সাজানো হয়। অনুষ্ঠানও হয়। মাঝে বন্ধ ছিল কিছু দিন। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের নতুন পুলিশ কমিশনার সুব্রত মিত্রের উদ্যোগে সোমবার ফের সেজে উঠল সুভাষ বসুর স্মৃতি বিজড়িত সেই ঘর। পুলিশ কমিশনার নিজেই অনুষ্ঠানের তদারকি করলেন।
কমিশনারেটের অন্যান্য পুলিশ কর্তা-সহ ছিলেন উত্তর ব্যারাকপুর ও গারুলিয়ার পুর প্রধান। ছিল মোটর বাইক মিছিল। বিভিন্ন স্কুল পড়ুয়ারাও সামিল হয় ওই অনুষ্ঠানে। পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘ইতিহাস সমৃদ্ধ নোয়াপাড়া থানা। সুভাষচন্দ্রের স্মৃতিতে ঘরটির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণে এ বার থেকে আমরা নজর রাখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy