Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Barasat Hospital

বারাসত হাসপাতালে নতুন কন্ট্রোল রুম

উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। করোনা পরিস্থিতির উপরে নজরদারি রাখতেই ১৫ জন চিকিৎসক ও কর্মী নিয়ে শুরু হল করোনা কন্ট্রোল রুম।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২০ ০৬:২৭
Share: Save:

এই রাজ্যে সম্প্রতি চিকিৎসা না পেয়ে করোনা আক্রান্ত একাধিক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সেই কথা মাথায় রেখে এ বার করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুবিধার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নতুন করে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু করা হল। মূলত করোনা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখতে এই কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে বলেই প্রশাসন সূত্রের খবর।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। করোনা পরিস্থিতির উপরে নজরদারি রাখতেই ১৫ জন চিকিৎসক ও কর্মী নিয়ে শুরু হল করোনা কন্ট্রোল রুম। প্রশাসন সূত্রে খবর, বারাসত হাসপাতালের পুরনো ব্লাড ব্যাঙ্কটিকে কন্ট্রোল রুম হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ, সোমবার থেকে এই কন্ট্রোল রুম চালু হচ্ছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এই কন্ট্রোল রুমে তিনটি শিফটে এক জন করে মেডিক্যাল অফিসার এবং এক জন করে চিকিৎসক থাকবেন। কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং এই জেলার করোনা হাসপাতালের শয্যা সংখ্যার উপরে নজর রাখা হবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে আরও খবর, মূলত উপসর্গহীন রোগীদের ঘরে থাকতেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা পজ়িটিভ হয়েছে এই আতঙ্কে শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে অনেকের। সেই কারণেই জেলার করোনা পজ়িটিভ রোগী ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ রাখা হবে এই কন্ট্রোল রুম থেকে। প্রয়োজনে তাঁদের কাউন্সেলিং করা হবে। করোনা ভীতি কাটিয়ে কী ভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে কন্ট্রোল রুমে থাকা চিকিৎসক সবই বুঝিয়ে দেবেন।

প্রশাসন সূত্রের আরও খবর, জেলার কোন কোভিড হাসপাতালে কত শয্যা রয়েছে, তার কতগুলি ফাঁকা হল, সবই এই কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কোনও রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কন্ট্রোল রুম থেকেই মেডিক্যাল অফিসার হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করবেন। এ ছাড়াও গোটা জেলার করোনা রোগীদের আনা-নেওয়ার জন্য মোট ২১টি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার ব্যবস্থাও থাকছে।

রবিবার এ বিষয়ে বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘জেলার করোনা আক্রান্ত মানুষের জন্যই এই কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বরও রাখা হয়েছে। কখনও কোনও সমস্যা বা অসুবিধা হলে কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানালে প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

এ দিন বারাসত এবং মধ্যমগ্রামে কড়া পুলিশি পাহারা ছিল। লকডাউন মেনে দুপুর ১টার পর থেকে বন্ধ ছিল সমস্ত দোকানপাট। এ দিন রাস্তায় মাস্ক না পরে বার হওয়া মানুষের সংখ্যাও ছিল অন্য দিনের তুলনায় কম। পুলিশ জানিয়েছে, কড়া নজরদারি চলবে। কোনও সমস্যা হলে হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Barasat Hospital Barasat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE