নিউ টাউনের লোহাপুলের কাছে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাস্থল, সেই সরকারি পরিত্যক্ত জমিটি পরিষ্কার করার কাজ শুরু হল। শনিবার সকাল থেকে দশ একরেরও বেশি ওই জমির জঙ্গল কেটে পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ)। যদিও নিউ টাউনের অন্যান্য জায়গায় ফাঁকা জমিতে ভরে থাকা জঙ্গলও পরিষ্কার করা নিয়ে আলাদা করে কোনও পদক্ষেপ করা হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে লোহাপুলের কাছে ওই সরকারি জমিতে এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুন করে ফেলে রেখে যায় ই-রিকশার এক চালক। লোহার তারের বেড়া দিয়ে ঘেরা জমিটির ভিতরে ঘন জঙ্গল। বাইরে থেকে ভিতরটা স্পষ্ট দেখা যায় না। ঘটনার সময়ে জায়গাটি অন্ধকারে ডুবে ছিল। সম্প্রতি সেখানে আলো লাগিয়েছে এনকেডিএ।
সংস্থার আধিকারিকেরা জানান, এমনিতে বর্ষার পরে এবং শীতের শেষে জঙ্গল পরিষ্কার করা হয়। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘লোহাপুলের ঘটনাটি আকস্মিক ভাবে ঘটে যাওয়ায় এ ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপ করতে হয়েছে। আগামী দিনে কী ভাবে জঙ্গলের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।’’
উল্লেখ্য, নিউ টাউনের সব জমিই হিডকো-র। সেই সব জমির সিংহভাগই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বহু জমিতে ক্রেতারা কোনও নির্মাণ না করে ফাঁকা ফেলে রেখেছেন। সেই সব জমিই বর্তমানে জঙ্গলে ঢেকে রয়েছে। আবার কিছু জমি এমনও রয়েছে, যা এখনও বণ্টন হয়নি। সেগুলিরও একই অবস্থা।
সূত্রের খবর, দু’বারের বেশি জঙ্গল সাফাইয়ের ক্ষেত্রে আর্থিক অনটনই প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারণ, বণ্টন হয়ে যাওয়া সিংহভাগ ফাঁকা জমিতে নির্মাণের জন্য কোনও নকশাও অনুমোদন করানো হয়নি। যে কারণে এনকেডিএ-র উপায় নেই সেই জমির মালিকের থেকে জঙ্গল সাফাইয়ের খরচ আদায় করার। আর বণ্টন না হওয়া জমির জঙ্গল কাটার ক্ষেত্রে এনকেডিএ-কে খরচ আদায় করতে হবে অন্য সরকারি সংস্থা হিডকো-র থেকে।
এ হেন নানা জটিলতা ঘিরেই নিউ টাউনের বহু এলাকা এখনও জঙ্গলে ভরে রয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)