২৪ ঘণ্টা পার করেও সল্টলেকে প্রকাশ্যে দুই ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনায় ধরা পড়ল না কেউ। পুলিশ অবশ্য বলছে ঘটনার তদন্ত চলছে।
মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের মুখে নারকেলডাঙার প্রতাপচন্দ্র মেমোরিয়াল হোমিওপ্যাথি কলেজের অধ্যক্ষ বিধুভূষণ জানাকে দশ-বারো জন ব্যক্তি ঘিরে ধরে মারধর করে। ঘটনায় গুরুতর ভাবে জখম হন তিনি। ঘটনার পরে এনআরএস হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়। মঙ্গলবার রাতে তিনি বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।
বুধবার বিধুভূষণবাবু জানান, কলেজে অচলাবস্থা চলছিল দীর্ঘ দিন ধরেই। তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালতের রায়ে তিনি ওই পদে ফের বহাল হন। এর পরে তিনি কলেজে ঢুকতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। অচলাবস্থা চলতেই থাকে। সেই বিষয়টির মীমাংসা করতে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে আসে।
মঙ্গলবার তাই নিয়ে বৈঠক ছিল। তাঁর অভিযোগ, কলেজের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের একাংশ তাঁকে মারধর করেছেন।
অন্য দিকে, এ-ই ব্লকের একটি বাড়ির সামনে দুই গাড়িচালককে প্রকাশ্যে মদ্যপান করতে দেখে প্রতিবাদ জানান স্থানীয় বাসিন্দা মণীশ সারোগি। অভিযোগ, প্রতিবাদ করতে গেলে দুই চালক তাঁকে মারধর করেন। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের শনাক্তও করেছেন মনোজ। সেই তথ্যও তিনি পুলিশকে দিয়েছেন।
সম্প্রতি সল্টলেকের এ কে ব্লকের মধ্যে মদ্যপানের বিরোধিতা করায় বাসিন্দাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছিলেন কিছু যুবক। এমনকী বাসিন্দাদের গাড়ি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ। তাতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে ৩ জন।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, সল্টলেকে এই ধরনের ঘটনা বাড়ছে। তাই অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ না করলে সমস্যা বাড়বে বলে। বিধাননগরের এক পুলিশ কর্তা জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy