Advertisement
০৬ মে ২০২৪

পরিকাঠামোর অভাবে বাতিল পুর-প্রকল্প

নেই জমি। অভাব অর্থেরও। তাই বাস্তবায়িত হল না কলকাতা পুরসভার নার্সারিতে উৎপন্ন ফল, ফুল বাজারে বিক্রির পরিকল্পনা। লক্ষ্য ছিল, ফল, ফুলের উৎপাদন বাড়িয়ে এ ভাবে পুরসভা আয় বাড়াবে।

পরিচর্যা। শহরের এক পুর-নার্সারিতে। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য।

পরিচর্যা। শহরের এক পুর-নার্সারিতে। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য।

কৌশিক ঘোষ
শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:১৬
Share: Save:

নেই জমি। অভাব অর্থেরও। তাই বাস্তবায়িত হল না কলকাতা পুরসভার নার্সারিতে উৎপন্ন ফল, ফুল বাজারে বিক্রির পরিকল্পনা। লক্ষ্য ছিল, ফল, ফুলের উৎপাদন বাড়িয়ে এ ভাবে পুরসভা আয় বাড়াবে।

কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের উত্তর ও দক্ষিণে দু’টি নার্সারি রয়েছে পুরসভার। একটি উডবার্ন পার্কে এবং অন্যটি টালা পার্কে। সেখানে সারা বছর বিভিন্ন প্রজাতির ফুল-ফলের চাষ হয়। পাশাপাশি, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লঙ্কা, লাউ-সহ নানা ধরনের আনাজেরও চাষও হয়।

সারা বছর ধরে পরিচর্যা করে যে আনাজ-ফুল-ফল পুরসভার নার্সারিতে উৎপাদন হয় তাই শহর ও আশপাশের বিভিন্ন পুষ্প প্রদর্শনীতে যায়। এক পুর আধিকারিক জানান, কলকাতা পুরসভা ইতিমধ্যেই পুষ্প প্রদর্শনীতে শহর ও শহরতলির মধ্যে অন্যতম জায়গা করেছে। নার্সারিতে উৎপন্ন ফুল ও আনাজ পুরষ্কৃতও হয়েছে। সে সবই প্রদর্শনীর জন্যে। উৎপাদিত ফুল-ফল-আনাজ বাজারে বিক্রি করতে প্রচুর উৎপাদনের প্রয়োজন। সেই পরিমাণ উৎপাদন করতে পুরসভার প্রয়োজন অনেকটা জমি। সমস্যা সেখানেই।

কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন ‘‘এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন ছিল অনেকটা জমির। কিন্তু শহরের মধ্যে এতটা জমি পাওয়া যায়নি। সেই জন্যেই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি।’’

নাগরিকদের মধ্যে গাছ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং শহরের সৌন্দর্যায়নে পুরসভা নার্সারি দু’টিতে ফুল, ফল এবং আনাজ উৎপন্ন করে তা প্রদর্শনীতে পাঠায়। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে পুরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন বৃক্ষরোপণের কর্মসূচী নেওয়া হয় ও গাছের চারা বিলি করা হয়। বিভিন্ন বরো থেকে রাস্তায় এবং পার্কে পোঁতার জন্য চারা বিতরণ করেন এলাকার কাউন্সিলরেরা। অথচ নার্সারিতে উৎপন্ন বিভিন্ন চারা বা ফলন বিক্রির জন্য পুরসভার কোনও ‘আউটলেট’ নেই। পুরসভার একাংশের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চারা বিতরণ কেন্দ্র রয়েছে বন দফতরের।

পুরসভার ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা নেই কেন? কর্তৃপক্ষ জানান, নার্সারিতে সামান্য ফলন হয়। ‘আউটলেট’-এ বিক্রি করতে যে পরিমাণ ফলনের প্রয়োজন তা হয় না। এক পুর আধিকারিক জানাচ্ছেন, চাষের উপযুক্ত বড় জমি শহরে অমিল। তা কিনতে প্রচুর টাকারও প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে কর্মীর সংখ্যাও বাড়াতে হবে। সেই কারণেই প্রকল্প থেকে হাত গুটিয়েছে পুরসভা। আধিকারিকদের একাংশের দাবি, পুরসভার কাজ পরিষেবা দেওয়া। আনাজ বিক্রি নয়। এই প্রস্তাব অবাস্তব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nursery Project Lack of Infrastructure
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE