বাধা: এই বক্স ড্রেনের জন্যই আটকে গিয়েছিল কাজ। —নিজস্ব চিত্র।
ঠিক ছিল অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল বিশ্বকাপের আগেই বাইপাস-বেলেঘাটা সংযোগস্থলে তৈরি হয়ে যাবে আন্ডারপাস। কিন্তু শেষ পর্যায়ে ভিলেন হয়ে দাঁড়াল মাটির নীচে একটি নিকাশি বাক্স বা বক্স ড্রেন। যার সম্পর্কে কোনও তথ্য ছিল না কেএমডিএ কিংবা কলকাতা পুরসভার কাছে। ফলে কাল, রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বিশ্বকাপের বল মাটিতে পড়ার আগে ওই আন্ডারপাস চালু হচ্ছে না।
অথচ এই আন্তর্জাতিক ক্রীড়ানুষ্ঠান উপলক্ষে বাইপাসের ভিড় সামলাতে স্টেডিয়াম-সংলগ্ন রাস্তার নীচে দু’টি আন্ডারপাস তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। একটি বেলেঘাটা বিল্ডিং মোড়ে, অন্যটি কাদাপাড়ায়। মাটির নীচে কিছু সমস্যা থাকায় দ্বিতীয়টি তৈরির সিদ্ধান্ত আগেই স্থগিত হয়ে যায়। কিন্তু বিল্ডিং মোড়ে আন্ডারপাস চালুর কাজ পরিকল্পনা মাফিকই এগোচ্ছিল। এখন বিধি বাম হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই বক্স ড্রেন। এই কাজের বরাত পাওয়া নির্মাণ সংস্থার দাবি, ১২ তারিখের মধ্যে ওই আন্ডারপাস চালু হয়ে যাবে। যদিও তা নিয়ে সংশয় রয়েছে সরকারেরই একটি মহলে।
বাইপাসে মাটির নীচে জরুরি পরিষেবার অনেক লাইন গিয়েছে। তা জানা সত্ত্বেও ওই এলাকার নকশা কেন সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কাজ শুরুর আগে নির্মাণ সংস্থার হাতে তুলে দেয়নি, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে। কেএমডিএ কিংবা পুরসভা, কারও কাছেই অবশ্য এই প্রশ্নের জবাব মেলেনি।
কী কারণে কাজ আটকে গেল?
সূত্রের খবর, বাইপাসে মাটির নীচে কী কী রয়েছে— কাজ শুরুর আগে তার কোনও নকশা না পেয়ে এলোপাথারি মাটি খুঁড়ে এগোতে থাকে নির্মাণ সংস্থা। কিছুটা এগোতেই রাস্তার মাঝ বরাবর বক্স ড্রেনে আটকে যায় খোঁড়াখুড়ির কাজ। এই বক্স ড্রেন দিয়ে নিকাশির জল যায়। অবস্থা বেগতিক বুঝে ড্রেনটি ভেঙে ফেলা হয়। এখন রাস্তার ধারে নতুন করে বক্স ড্রেন তৈরি হচ্ছে। নির্মাণ সংস্থার বক্তব্য, নতুন বক্স ড্রেন তৈরির জন্যই সময় বেশি লাগছে। তা ছাড়া সাই কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জায়গা হস্তান্তর করতে দেরি করায় অনেকটা সময় চলে যায়।
হেঁইয়ো: অবশেষে পথ খুঁজে পেয়ে ফের শুরু হল আন্ডারপাস তৈরির কাজ। শুক্রবার, বেলেঘাটা বাইপাস কানেক্টরে। —নিজস্ব চিত্র।
নির্মাণ সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়ারের কথায়, ‘‘চার মাস আগে আমাদের জমি হস্তান্তর করার কথা ছিল। হাতে পাই আড়াই মাস আগে। তার উপরে মাটির নীচের নকশা না মেলায় আরও সমস্যা হয়েছে। রাস্তা না-কেটে এই কাজ করতে হচ্ছে।’’ তাঁর বক্তব্য, এই ধরনের আন্ডারপাস তৈরিতে বছরখানেক লাগে। কিন্তু তাঁদের সংস্থা বাকি কাজ দু’-তিন দিনে শেষ করবে বলে প্রতিশ্রুতি ওই কর্তার। কেএমডিএ সূত্রের খবর, আন্ডারপাস তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ১৬ কোটির কিছু বেশি টাকা।
আন্ডারপাসটি তৈরি হচ্ছে রাস্তা থেকে ৬ মিটার নীচে। এল আকারের এই আন্ডারপাস হবে ৭৫ মিটার। প্রথম পর্যায়ে বাইপাসের নীচে ৪০ মিটারে কাজ শেষ হলেই তা চালু করে দেওয়া হবে।
স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু শুক্রবার বলেন, ‘‘মাটির নীচে জরুরি পরিষেবার লাইন থাকায় কাজে একটু দেরি হচ্ছে। আশা করছি, ১২ অক্টোবরের আগেই কাজ শেষ হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy