Advertisement
E-Paper

বৃদ্ধের মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ

পুলিশ সূত্রের খবর, বাঘা যতীনের বাসিন্দা অঞ্জনবাবু গত ৪ এপ্রিল জ্বর নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ০২:০৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

এক রোগীর মৃত্যুতে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠল পঞ্চসায়র থানা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে।

ওই ঘটনায় মৃত অঞ্জনকুমার ধরের (৬৯) মেয়ে পায়েল ধর অধিকারীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, বাঘা যতীনের বাসিন্দা অঞ্জনবাবু গত ৪ এপ্রিল জ্বর নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিজনদের দাবি, তাঁদের হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছিল, ভর্তির পরে অঞ্জনবাবু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর পরে সেপ্টিসেমিয়া হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁদের আরও দাবি, ভর্তি হওয়ার চার দিনের মাথায় অভিযুক্ত চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, আরও দিন চারেক পরে অঞ্জনবাবুকে ছেড়ে দেওয়া হবে। সেই মতো আইসিইউ থেকে বার করে ওই বৃদ্ধকে সাধারণ শয্যায় দেওয়া হয়। কিন্তু আচমকা অভিযুক্ত চিকিৎসক জানান, রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছে। বৃদ্ধকে এর পরে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। পরিবার জানায়, মাঝে রোগীকে আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হলেও ফের তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন যে ভাবে অঞ্জনবাবুর চিকিৎসা হয়েছে, তা নিয়ে

পরিবারের বিস্তর প্রশ্ন রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ— কারও কাছ থেকেই রোগীর অবস্থা সম্পর্কে কখনও ঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচের কথা মাথায় রেখেই রোগীর প্রকৃত শারীরিক অবস্থা পরিজনদের জানানো হয়নি বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অঞ্জনবাবুর চিকিৎসা সংক্রান্ত নথির পাশাপাশি বিভিন্ন রিপোর্ট চাওয়া হবে। বিশেষজ্ঞদের মতামত জানতে সেই সমস্ত নথি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে পাঠানো হবে। এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘নথি পাওয়ার পরেই অভিযুক্তদের ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’

অভিযোগ প্রসঙ্গে ওই বেসরকারি হাসপাতালের সিইও সিঞ্চন ভট্টাচার্য দাবি করেন, ‘‘চিকিৎসা যথাযথই হয়েছে। রোগীকে বাঁচাতে যা যা করা দরকার, চিকিৎসক সবই করেছেন। হাসপাতালের এ নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই।’’

DEath Panchasayar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy