Advertisement
E-Paper

চলছে ঝুঁকির পারাপার

স্ট্যান্ডে বাস থামার নির্দেশিকা রয়েছে। রয়েছে ঝাঁ চকচকে বাসস্ট্যান্ড। কিন্তু যাত্রী বা বাসচালক— সেই নির্দেশিকা প্রায় কেউই মানছে না। যত্রতত্র বাস থামিয়ে ওঠা-নামা চলছে। চলছে দৌড়ে রাস্তা পারাপারও। ব্যস্ত রবীন্দ্রসদন মোড়ের এটি প্রতি দিনের ছবি।

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৭ ০০:২৭
বেনিয়ম: বাসস্ট্যান্ড নয়। তবু এ ভাবেই প্রতি দিন বাসে ওঠানামা চলে  রবীন্দ্র সদনে। নিজস্ব চিত্র

বেনিয়ম: বাসস্ট্যান্ড নয়। তবু এ ভাবেই প্রতি দিন বাসে ওঠানামা চলে রবীন্দ্র সদনে। নিজস্ব চিত্র

স্ট্যান্ডে বাস থামার নির্দেশিকা রয়েছে। রয়েছে ঝাঁ চকচকে বাসস্ট্যান্ড। কিন্তু যাত্রী বা বাসচালক— সেই নির্দেশিকা প্রায় কেউই মানছে না। যত্রতত্র বাস থামিয়ে ওঠা-নামা চলছে। চলছে দৌড়ে রাস্তা পারাপারও। ব্যস্ত রবীন্দ্রসদন মোড়ের এটি প্রতি দিনের ছবি।

পাশেই এসএসকেএম, নন্দন, রবীন্দ্রসদন-সহ বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহ থাকায় দিন-রাত এই মোড়ে গাড়ি ও পথচারীর বাড়তি চাপ থাকে।

ভিক্টোরিয়ার দিক থেকে এজেসি বসু রোড ধরে রবীন্দ্রসদন মোড়ে বাস পৌঁছলে হুড়মুড়িয়ে নামেন যাত্রীরা। অথচ কোনও বাসস্ট্যান্ড নেই সেখানে। মোহরকুঞ্জের দিকে কিছুটা এগনোর পরে স্ট্যান্ড রয়েছে। কিন্তু দুপুর একটার আগে পর্যন্ত সব বাস রবীন্দ্রসদন মোড়ে দাঁড়িয়েই যাত্রী ওঠা-নামা করায়। স্ট্যান্ডটির কার্যত কোনও ব্যবহারই হয় না। যাত্রীদের অভিযোগ, মোড় থেকে দূরে বাসস্ট্যান্ড হওয়ায় এই ভোগান্তি।

দুপুর একটার পরে ভিক্টোরিয়ার দিক থেকে আসা বাস ও গাড়িগুলিকে নন্দনের সামনে থেকে এক্সাইড মোড়ে পাঠানো হয়। যাত্রীরা রাস্তার পাশ থেকেই উঠে পড়েন বাসে। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় বাস।

পাশাপাশি, হরিশ মুখার্জি রোডেও যাত্রী ভিড় লেগেই থাকে। যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতায় দাঁড়িয়ে পড়ে সব বাস। তখন এজেসি বসু রোড, এক্সাইড মোড় থেকে আসা সব গাড়িগুলি থমকে যায়।

কর্তব্যরত এক পুলিশ সার্জেন্ট জানান, প্রতি দিন গড়ে ৪০টি বাসকে জরিমানা করা হয়। তবু এই প্রবণতায় রাশ টানা যায়নি। অফিস ফেরত যাত্রীর চাপে সমস্যা বেশি হয়। যেখানে-যেখানে খুশি হাত দেখিয়ে বাস দাঁড় করান যাত্রীরা। পুলিশ বাধা দিলে বচসা শুরু হয়ে যায়। এর সমাধানে সবার আগে যাত্রীদের সচেতন হতে হবে।

লালবাজার সূত্রের খবর, ওই রাস্তা দিয়ে মাঝে মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী যাতায়াত করেন। তখন রীতিমত মাইকে ঘোষণা করে যাত্রীদের সরাতে হয়। কী ভাবে মিটবে এই সমস্যা?

কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক) ভি সলেমন নেসাকুমার বলেন, ‘‘যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করতে গার্ড রেল বসানো হয়েছে। সে কাজে শেষ হলে সমস্যা মিটে যাবে।’’

Risk taking Crossing
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy