সুভাষ সরোবরে চলছে ছটপুজো। ফাইল চিত্র
জাতীয় সরোবর হিসেবে স্বীকৃত রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, সুভাষ সরোবরে ছটপুজো বন্ধ করার ব্যাপারে প্রশাসন বরাবরই উদাসীন। সম্প্রতি সুভাষ সরোবরে ফের কিছু মাছ মরে যাওয়ায় সেখানে ছটপুজো বন্ধ করতে প্রশাসনের কাছে আর্জি জানাল ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাঙ্গলার্স অ্যাসোসিয়েশন’। যদিও এই ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।
‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাঙ্গলার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর কার্যনির্বাহী সদস্য সুব্রত সেনের অভিযোগ, “ছটপুজোর ফলে সরোবরের জলে যে দূষণ ছড়ায়, তা মাছ চাষের পক্ষে ক্ষতিকারক। সরোবরের জল যাতে দূষিত না হয়, তার জন্যই সেখানে ছটপুজো বন্ধ রাখার আবেদন জানানো হয়েছে।’’ সুব্রতবাবু জানান, বছরখানেক আগেও সুভাষ সরোবরে প্রচুর মাছ মরে ভেসে উঠেছিল। তার পরেও বিভিন্ন সময়ে মাছ মরেছে সেখানে।
পরিবেশ বিজ্ঞানী ও জলজ প্রাণীদের নিয়ে গবেষণারত অনির্বাণ চৌধুরী বললেন, “পরিষ্কার জলে ঘি বা তেল পড়লে তা থেকে যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে, তা জলজ প্রাণীদের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই তা যাতে না ঘটে, সেই ব্যবস্থা করা উচিত।’’ কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, সুভাষ সরোবরে প্রতি বারই ছটপুজোর পরে খুব দ্রুত জল পরিষ্কার করে ফেলা হয়। ওই সরোবরে সম্প্রতি প্রচুর মরা মাছ ভেসে ওঠায় জলের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট বলছে, জলে দূষণ নেই।
আরও পডুন: গলা ব্যথা নিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় কমিশনে অভিযোগ
আরও পডুন: লরির ধাক্কার ঘটনায় মৃত আরও এক জন
কেএমডিএ সূত্রের খবর, ওই ১১০ একর জলাশয় ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাঙ্গলার্স অ্যাসোসিয়েশন’-কে লিজ় দেওয়া রয়েছে। তারাই জলাশয়টির রক্ষণাবেক্ষণ করে। তবে সেখানকার জলের মান ঠিক আছে কি না, তা কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ রাজ্য পরিবেশ দফতরকে দিয়ে মাঝে মাঝে পরীক্ষা করান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy