Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Arrest

বোমা তৈরির রাসায়নিক সমেত ধৃত দুই

ধৃতদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার তাদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

A Photograph representing a man being arrested

বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক ও উপকরণ-সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:৫৩
Share: Save:

বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক ও উপকরণ-সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হল দু’জনকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে, ময়দান থানা এলাকার ধর্মতলা থেকে তাদের গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ধৃতদের নাম সইদুল আলম এবং রেজাউল হক। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, তাদের কাছে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ৬০ কেজির মতো বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক। উদ্ধার হয়েছে বোমা তৈরির বিভিন্ন উপকরণ।

পুলিশ জানায়, সইদুলের বাড়ি ঝাড়খণ্ডে, রেজাউলের বাড়ি মুর্শিদাবাদে। ধৃতদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার তাদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার এসটিএফের গোয়েন্দাদের কাছে খবর আসে, ধর্মতলা এলাকা দিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পাচারের পরিকল্পনা হয়েছে। এর পরেই গোয়েন্দারা সাধারণ পোশাকে এলাকা ঘিরে ফেলেন। দেখা মেলে দুই সন্দেহভাজনের, যারা ব্যাগ নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল সেখানে। ওই দু’জনকে আটক করে তল্লাশি চালাতেই সঙ্গের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৬০ কেজি রাসায়নিক। গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই রাসায়নিক পটাশিয়াম নাইট্রেট এবং অ্যামোনিয়াম সালফেট। তাদের ব্যাগ থেকে মিলেছে ছোট ছোট কন্টেনার, দড়ি এবং কৌটো।

গোয়েন্দারা মনে করছেন, ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া ওই বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক দিয়ে কৌটো বোমা বানানোর পরিকল্পনা ছিল। এক তদন্তকারী অফিসার জানাচ্ছেন, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, কৌটো বোমা বানানো ছাড়াও ওই সব উপকরণ দিয়ে প্রেশার কুকার বোমা তৈরি করার উদ্দেশ্য ছিল ধৃতদের।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের অবৈধ বাজি কারখানার জন্য পটাশিয়াম নাইট্রেট আনা হয় ভিন্ রাজ্য থেকে। তবে এ ক্ষেত্রে ওই বিস্ফোরক ভর্তি ব্যাগ নিয়ে ধৃতেরা কী করত, তা জানার চেষ্টা চলছে। বিস্ফোরক কোথায় সরবরাহ করার কথা ছিল, তা-ও জানার চেষ্টা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, ভিন্ রাজ্য থেকেই ওই রাসায়নিক শহরে ঢুকেছিল। উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকা থেকেও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল এসটিএফ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE