E-Paper

স্বর্ণকারকে খুনের সময়ে বিডিও-র অবস্থান নিয়ে মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র, দাবি পুলিশের

মৃতের পরিজনেরা ও দত্তাবাদে যে বাড়িতে মৃতের সোনার দোকান ছিল, সেটির মালিক গোবিন্দ বাগ অভিযোগ তুলেছেন, ২৮ অক্টোবর বিডিও নিজে দত্তাবাদে হাজির হয়েছিলেন। দু’টি গাড়িতে তাঁর সঙ্গীরাও ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:৫৭
রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণ।

রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণ। —ফাইল চিত্র।

দু’দিন ‘উধাও’ থাকার পরে অবশেষে শুক্রবার প্রকাশ্যে দেখা গেল জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণকে। গত ২৯ অক্টোবর যাত্রাগাছিতে বাগজোলা খাল সংলগ্ন এক জায়গায় স্বর্ণকার স্বপন কামিল্যার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনায় খুন ও অপহরণের অভিযোগ করেছিল তাঁর পরিবার, যাতে নাম জড়ায় বিডিও-র। এ দিন ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন প্রশান্ত। বৈঠক শেষে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ হল থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “বিধাননগর পুলিশ যোগাযোগ করেছে। আমি তদন্তে সহযোগিতা করব।” তিনি ভোটার তালিকার কাজও করছেন বলে দাবি করেন।

এ দিন প্রশান্ত দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। প্রশান্তের কথায়, “সংবাদমাধ্যম আমাকে ‘দাবাং বিডিও’ বলেছিল। আমি ঠিকাদারদের দুর্নীতি বন্ধ করেছি, জমি মাফিয়াদের আটকে দিয়েছি, সিন্ডিকেট বন্ধ করেছি, স্কুল-রাস্তা করেছি। মানুষের বিপদে ছুটে গিয়েছি। সেই কারণে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘টিভিতে দেখলাম, এক জন বলেছে, সে সোনা গলিয়েছে। এক জন সোনা চোরের কথা বিশ্বাস করা হচ্ছে।” তাঁর থেকে কোনও সোনা চুরি হয়নি বলে দাবি করে প্রশান্ত আরও বলেন, “এক জন আগেই ফোন করে হুমকি দিয়ে বলেছে, ‘দেখবে তোমার নাম মামলায় ঢুকিয়ে দেব’। অভিযোগে লিখেছে, প্রশান্ত বর্মণ মৃতের বাড়িতে নাকি গিয়েছিল। সব মিথ্যে। আমিদাঁতনে যাইনি। যে সব ফুটেজের কথা বলা হচ্ছে, সব তৈরি করা। আমার ছবি তো পাওয়াই যায়, সেখান থেকে নিয়েছে।”

এই ঘটনায় মৃতের পরিজনেরা ও দত্তাবাদে যে বাড়িতে মৃতের সোনার দোকান ছিল, সেটির মালিক গোবিন্দ বাগ অভিযোগ তুলেছেন, ২৮ অক্টোবর বিডিও নিজে দত্তাবাদে হাজির হয়েছিলেন। দু’টি গাড়িতে তাঁর সঙ্গীরাও ছিলেন। তবে, পুলিশ সূত্রের খবর, ওই খুন ও অপহরণের ঘটনার সময়ে বিডিও-র অবস্থান কোথায় ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ সূত্রও মিলেছে।

খুনের ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরে ওই বিডিও-র বিলাসবহুল বাড়ি, শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও সমাজমাধ্যমে লেখালিখি চলছে। এ দিন সে প্রসঙ্গে বিডিও বলেন, “আমার বাড়ি নেই। যে বাড়ির ছবি দেখানো হচ্ছে, সেগুলি কাদের নামে, খোঁজ নিন। আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। আমি আইন পড়েছি, এলএলএম করেছি। দশটা বই লিখেছি। কিছু দিন পরে হয়তো নামের শুরুতে ডক্টরেট লেখা থাকবে।’’

তিনি রাজবংশী বলেও ষড়যন্ত্র হচ্ছে, এমন দাবিও করেন ওই বিডিও। বলেন, “আমি রাজবংশী, তাই অনেকে মেনে নিতে পারছেন না। অনেকের পোস্টিং বাতিল হয়, তা নিয়ে কথা হয় না। আমি রাজবংশী বলেই এই সব ষড়যন্ত্র।” পরে বলেন, “যতই ষড়যন্ত্র হোক, আমাকে টেনে নীচে নামানো যাবে না। আমি দাবাং বিডিও ছিলাম, দাবাং-ই থাকব।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

police investigation Jalpaiguri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy