পঁচিশ দিন ধরে তিনি বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন। আর তাঁর নিখোঁজ হওয়া নিয়ে ঘটে যাওয়া একের পর এক নাটক দেখেছেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সুশীল মান্ডিকে সোমবার মেচেদা স্টেশন থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। জানুয়ারিতে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে সুশীলের বিরুদ্ধে। তা ফেসবুকে পোস্ট করেন ওই ছাত্রী। তার পরেই নিখোঁজ হয়ে যান সুশীল।
পুলিশ জানায়, বেলদায় এক বন্ধুর বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন সুশীল। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি প্রথমে খড়্গপুর স্টেশনে যান। সেখান থেকে বেলদা। এ দিকে তাঁর নিখোঁজ হওয়া নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এই ঘটনা ঘিরে দুই ছাত্রের মধ্যে মারামারি হয়। খোদ উপাচার্যকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। কলকাতা পুলিশ কমিশনার এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে বিষয়টি দেখার জন্য আবেদন করেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একের পর এক সভাও হয় এই নিয়ে। হুগলি থেকে চলে আসেন সুশীলের পরিজনেরা
কী কারণে কর্তৃপক্ষ থেকে পড়ুয়াদের ভোগান্তিতে ফেললেন তিনি তার জবাব অবশ্য সুশীলের কাছে মেলেনি। তাঁর বান্ধবী জুবি সাহার দাবি, সুশীল বলেছেন তাঁকে কলঙ্কিত করার জন্য ফেসবুকে যে ভাবে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হয়। তাতে তিনি অবসাদে ভুগছিলেন। তাই বেলদা চলে যান।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার জুবিকে ফোন করে সুশীল মেচেদা স্টেশনে আসতে বলেন। তা পুলিশকে জানান জুবি। সোমবার সকালে মেচেদা স্টেশনে সুশীলের সঙ্গে দেখা করতে যান জুবি ও আর এক বন্ধু। স্টেশনে ছিলেন যাদবপুর থানার তদন্তকারী দলও। ট্রেন থেকে নামার পরে বন্ধুদের সঙ্গে যখন গল্পে মশগুল, তখনই পুলিশ সুশীলকে ঘিরে ধরে।