Advertisement
E-Paper

পথহারা পরীক্ষার্থীদের পাশে পুলিশকাকুরা

মঙ্গলবার মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনেই দু’টি ঘটনার সাক্ষী কয়েক জন পরীক্ষার্থী তাদের পাশে পেল ‘বন্ধু’ পুলিশকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০৮

মঙ্গলবার মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনেই দু’টি ঘটনার সাক্ষী কয়েক জন পরীক্ষার্থী তাদের পাশে পেল ‘বন্ধু’ পুলিশকে।

প্রথমটি ঘটে সকাল দশটা নাগাদ। ইউনির্ফম পরা ১০-১২ জন পড়ুয়া রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। আর কয়েক জন বিভ্রান্ত হয়ে বাস থামানোর চেষ্টা করছে। এমন দৃশ্য দেখে এগিয়ে যান বেলেঘাটা ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট অমরনাথ দাস। জানতে পারেন, ওরা সবাই পার্ক সার্কাসের বি আর অম্বেডকর স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বাগুইআটির জ্যাংড়ার পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অভিভাবকেরা একটি গাড়ি ভাড়া করেছিল, সেটি খারাপ হওয়ায় বিপত্তি। অমরনাথবাবু চলন্ত একটি খালি বাস দ্রুত দাঁড় করিয়ে তাতে পরীক্ষার্থীদের তুলে দেন। যাতে রাস্তায় পরীক্ষার্থীদের অসুবিধায় পড়তে না হয়, সে জন্য লালবাজার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে বিষয়টি জানান।

অন্যটি ঘটে, পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে। সেন্ট অ্যান্ড্রুজ স্কুলের সামনে গাড়ি নিয়ে ডিউটি করছিলেন লেক থানার ওসি সুমন দে। অ্যাডমিট কার্ড হাতে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী তাঁদের কাছে পরীক্ষা কেন্দ্রের ঠিকানা জানতে চান। পুলিশের গাড়িচালক ঠিকানা দেখে জানান, সেটি অনেক দূর। সব শুনে সুমনবাবু পরীক্ষা কেন্দ্র যে থানা এলাকায়, তার আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর পরেই কয়েকটি সিগন্যাল সবুজ করে ওই পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়।

লালবাজার সূত্রের খবর, মঙ্গলবার প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা ‘গ্রিন করিডর’ করে আনন্দপুরের বাসিন্দা কমলা চ্যাটার্জি স্কুলের ছাত্রী দেবশ্রী দেবনাথ নামের ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে পৌঁছে দিলেন দুই থানার আধিকারিকেরা। গত বছরও একই ভাবে এক পরীক্ষার্থীকে মোটরবাইকে বসিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছিল ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ।

এ দিন পুলিশের গাড়ি দেখে ওই পরীক্ষার্থী জানতে চায়, ‘‘লেক স্কুল ফর গার্লস কোথায়?’’ পরীক্ষা কেন্দ্র অনেক দূরে শুনে ছাত্রীটি ঘাবড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সুমনবাবু অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে দেখেন, সেটি পাশের থানা রবীন্দ্র সরোবর এলাকার হিন্দুস্থান পার্কের কাছে। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘এর পরেই ওই থানার ওসি জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সুমন। দু’জনে স্থির করেন ছাত্রীটিকে নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে পৌঁছে দিতে হবে। ওই সময়ে ঢাকুরিয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় গাড়ি চলাচল ধীর গতিতে থাকে। তাই তাঁরা ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’’ সুমনবাবু পরীক্ষার্থীকে পঞ্চাননতলার কাছে জয়ন্তবাবুর গাড়িতে তুলে দেন। পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিট আগে জয়ন্তবাবু পরীক্ষা কেন্দ্রে তাকে পৌঁছে দেন।

নষ্ট হয়ে যাওয়া গাড়িটির এক ছাত্র সরফরাজ আলম এবং দেবশ্রী দু’জনেই জানিয়েছে, পুলিশকাকুদের সাহায্য ছাড়া তারা পরীক্ষা শুরুর আগে কোনও ভাবেই পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারত না। এ জন্য পুলিশকাকুদের ধন্যবাদ জানিয়েছে তারা।

Madhyamik Examination Kolkata Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy