অরোদীপ চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
নিজের পেশা এবং পড়াশোনা নিয়ে ধৃত অরোদীপ যে দাবি করে এসেছেন, তা ঠিক নয়। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ক্রমশ সে বিষয়ে নিশ্চিত হচ্ছে বিধাননগর পুলিশ।
ভুয়ো চিকিৎসক অভিযোগে ধৃত অরোদীপ চট্টোপাধ্যায় শুরু থেকেই দাবি করছিলেন তিনি ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করেন মাত্র। সেই সুবাদেই রোগীদের পরামর্শ দিতেন। চিকিৎসক হিসেবে মোটেই কাজ করেননি কখনও। পুলিশ সূত্রের
খবর, বারবার পুলিশি জেরায় এমন দাবিই করেছেন ধৃত অরোদীপ। সেই দাবির সারবত্তা জানতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথি কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছিল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, সম্প্রতি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথির তরফে জানানো হয়েছে, সোরিনাম থেরাপি বলে কোনও চিকিৎসা প্রক্রিয়া তাদের জানা নেই। সোরিনাম বলে একটি ওষুধ থাকলেও ওই চিকিৎসার পদ্ধতি তাদের অজানা।
পাশাপাশি তারা পুলিশকে জানিয়েছে, হোমিওপ্যাথিতে ডিগ্রি অথবা ডিপ্লোমা না থাকলে কোনও ভাবেই রোগীকে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়া যায় না। এমনকী, এ নিয়ে গবেষণা করতে গেলেও হোমিওপ্যাথি কাউন্সিলের অনুমতি লাগে। সে সংক্রান্ত কোনও নথিও দেখাননি অরোদীপ।
বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা জানান, ধৃত অরোদীপ নিজেকে গবেষক হিসেবে দাবি করলেও সেই সংক্রান্ত কোনও নথি দেখাতে পারেননি তিনি। তাঁর ডিগ্রি নিয়ে ইতিমধ্যেই ধন্দ তৈরি হয়েছে। যে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে কোর্স করার কথা জানিয়েছিলেন ধৃত অরোদীপ, তার সত্যতা মেলেনি। সেই কোর্সকে কেন্দ্র করে অরোদীপের দেখানো আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠানের দেওয়া শংসাপত্রের কথা তদন্তে উঠে আসে। ইতিমধ্যেই আমেরিকার ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে সেই শংসাপত্রের সত্যতা জানতে চেয়েছে বিধাননগর পুলিশ।
এর পাশাপাশি তদন্তে উঠে এসেছে, পরপর দু’টি হোমিওপ্যাথি কলেজে ভর্তি হয়েও অরোদীপ পড়া ছেড়ে দেন। কেন অরোদীপ সেখান থেকে পড়াশোনা শেষ করেননি, তার কারণ জানতে চেয়ে ওই দুই হোমিওপ্যাথি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠাচ্ছে বিধাননগরের পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy