Advertisement
E-Paper

সুরক্ষিত হোক সিগন্যালের ব্যবস্থাপনা

ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন গাড়িচালক ও মালিক কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের ফেসবুক পেজে তা নিয়ে সরব হয়েছেন। আইনজীবী অরবিন্দ অগ্রবাল নিয়ম করে প্রতিদিন ফেসবুক পেজে ওই দাবি জানিয়ে পোস্ট করেছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, শুধু ওই ব্যক্তিই নন, আরও অনেকেই এ বিষয়ে তাঁদের কাছে দরবার করেছেন।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:১৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

অজয়নগর থেকে ই এম বাইপাস দিয়ে পাটুলির ঢালাই ব্রিজ হয়ে গড়িয়া ফিরছিলেন এক প্রৌঢ়া। সবুজ বাতি দেখে গাড়ি নিয়ে ক্রসিং পেরোনোর চেষ্টা করতে গেলে মাঝপথেই সিগন্যালের বাতি লাল হয়ে যায়। কিছু দিনের মধ্যেই ওই প্রৌঢ়ার মোবাইলে পৌঁছে যায় ট্র্যাফিক সিগন্যাল লঙ্ঘনের জন্য পুলিশের বার্তা।

শুধু ওই প্রৌঢ়াই নন, অভিযোগ কলকাতা শহরে একই রকম অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন বহু নাগরিক। হয়রানি ঠেকাতে তাঁদের অনেকেরই পুলিশের কাছে দাবি, লাল থেকে সবুজ হওয়ার সময়ে যেমন ট্র্যাফিক পোস্টে ‘টাইমার’ থাকে, তেমনই সবুজ থেকে লাল হওয়ার সময়েও টাইমার থাকা উচিত।

ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন গাড়িচালক ও মালিক কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের ফেসবুক পেজে তা নিয়ে সরব হয়েছেন। আইনজীবী অরবিন্দ অগ্রবাল নিয়ম করে প্রতিদিন ফেসবুক পেজে ওই দাবি জানিয়ে পোস্ট করেছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, শুধু ওই ব্যক্তিই নন, আরও অনেকেই এ বিষয়ে তাঁদের কাছে দরবার করেছেন। কিন্তু লালবাজারের কর্তাদের দাবি, সিগন্যাল লাল হয়ে যাবে তা আগে থেকে জানালে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। কারণ বাতি সবুজ থাকতে থাকতে সকলে তাড়াহুড়ো করে পেরোনোর চেষ্টা করবে।

লালবাজার সূত্রের খবর, গত বছর থেকে শহরের ট্র্যাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থাকে এক সূত্রে বাঁধার জন্য নতুন করে অটো সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। প্রতিটি রাস্তার মোড়ে থাকা সিগ্যনাল ব্যবস্থাকে মেলানো হয়েছিল ওই অটো সিগন্যালিংয়ের মাধ্যমে। যাতে এক জায়গায় সবুজ সিগন্যাল থাকলে পরবর্তী কয়েকটি মোড়ে গাড়ি থমকে না যায়। ওই সিগন্যালিং ব্যবস্থার সঙ্গেই মিল রেখে বাতি লাল থেকে সবুজ হতে কত ক্ষণ বাকি, তা জানিয়ে দেওয়া যায় চালকদের। এ ভাবে চালকদের সর্তক করতে প্রতিটি ট্র্যাফিক সিগন্যালে ‘টাইমার’ বসানো হয়, যাতে সিগন্যাল সবুজ হতে কতটা বাকি তা জানতে পারেন অপেক্ষামাণ চালকেরা। এ বার শহরের চালকদের একাংশ ট্র্যাফিকের জরিমানার হয়রানি ঠেকাতে ওই একই কায়দায় সবুজ থেকে লাল হওয়ার সময়ে ‘টাইমার’-এর দাবি করেছেন।

ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, তাঁদের কাছে ওই বিষয় নিয়ে হয়রানির অভিযোগ আসার পরে যাদবপুর থানার সিগন্যালে ওই ব্যবস্থা পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হয়েছে। যাদবপুর থানা ছাড়াও শহরের আরও দু’টি জায়গায় ওই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু লালবাজারের কর্তাদের একাংশের আবার আশঙ্কা, এই ব্যবস্থায় দুর্ঘটনা বাড়তে পারে। কী ভাবে? এক পুলিশকর্তার ব্যাখ্যা, সিগন্যাল সবুজ থাকাকালীন টাইমারের সময় দেখে অনেকেই তাড়াহুড়ো করে ক্রসিং পার হতে চাইবেন। ফলে গাড়ি দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যাবে। যদিও যাদবপুর থানার সিগন্যাল পয়েন্টে কোনও সমস্যা বা দুর্ঘটনার তথ্য এখনও সামনে আসেনি। তবে গাড়িচালকদের অধিকাংশেরই দাবি, লাল থেকে সিগন্যাল সবুজ করার আগে হলুদ আলোর দপদপানি কিংবা কয়েক সেকেন্ড দুই সিগন্যলই লাল রাখা হোক। ধর্মতলা এলাকায় বেশ কয়েকটি ব্যস্ত সিগন্যালে এই ব্যবস্থা চালু করে ভাল ফল পাওয়া গিয়েছে বলেও লালববাজের কর্তাদের অনেকেরই দাবি।

Signal Puja 2017
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy