দীর্ঘক্ষণ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেক সময়েই ফিরতে হচ্ছিল খালি হাতে। কখনও আবার সকাল থেকেই ‘লিঙ্ক নেই’ বলে বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হত। এমনকী টাকা তোলার ফর্মও মিলত না। দীর্ঘদিন ধরেই এই নিয়ে অভিযোগ ছিল গ্রাহকদের।
তারই প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে আগরপাড়া ডাকঘরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েকশো গ্রাহক। পরে অবশ্য ডাক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসে উন্নত পরিষেবার আশ্বাস দিলে বিকেলে বিক্ষোভ উঠে যায়।
পানিহাটি পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের আগরপাড়া পূর্ব স্টেশন রোডের একটি তিনতলা আবাসনের দোতলায় রয়েছে এলাকার বহু পুরনো এই ডাকঘর। সেখানে গ্রাহক সংখ্যাও অনেক। গ্রাহকদের অভিযোগ, গত ১২ ডিসেম্বর থেকে ডাকঘরের পরিষেবা কার্যত শিকেয় উঠেছে। অধিকাংশ দিনই ডাকঘর থেকে জানানো হয় কম্পিউটারে লিঙ্ক নেই। এমআইএস-এর টাকাও তুলতে পারছেন না গ্রাহকেরা। বিদেশ থেকে অনেকে টাকা পাঠালেও তা তুলতে পারছেন না গ্রাহকেরা। এ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন সমস্যা।
এক গ্রাহক পরিতোষ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমি প্রবীণ নাগরিক। প্রায় দিনই ডাকঘরে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরে শুনি, লিঙ্ক নেই। তাই সে দিন কাজ হবে না। কিন্তু রোজ এ ভাবে সময় নষ্ট করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়।’’ পিয়ালী দে, শ্রাবন্তী পালদের অভিযোগ, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে পরিষেবা মিলছে না। অথচ সমস্যার কথা বললেই পোস্টমাস্টার দুর্ব্যবহার করেন।’’
কিছু দিন আগে ওই ডাকঘরের মূল দরজা ও কোল্যাপসিবল গেটের মোট চারটি তালা ভেঙে ভিতরের কাগজপত্র লন্ডভন্ড করেছিল চোরেরা। যদিও ডাকঘর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, সেই ঘটনায় কোনও নথি খোয়া যায়নি।
গত ১৫ দিন ধরে পরিষেবা না পেয়ে এ দিন সকালে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেন গ্রাহকেরা। নতুন তালা কিনে এনে তাঁরা ডাকঘরের বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। সকাল ১১টায় ডাকঘর খুলে কর্মীরা ভিতরে ঢুকে যেতেই বাইরে থেকে নতুন তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রাহকেরা। ডাকঘরের ভিতরেই আটকে থাকেন পোস্টমাস্টার অনুপ গোস্বামী-সহ অন্য কর্মীরা।
যদিও অনুপবাবুর দাবি, ‘‘মাত্র দু’দিন ধরে একটু সমস্যা হচ্ছে। তার জন্য গ্রাহকেরা এমন কেন করছেন জানি না।’’ তিনি আরও জানান, সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে। এ দিন খবর পেয়ে বিকেল ৫টা নাগাদ ডাক বিভাগের ব্যারাকপুর ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস দিতে বিক্ষোভ উঠে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy