E-Paper

বৃষ্টিতে কমেছে জোগান, আনাজের দামের ছেঁকায় পুড়ছে পকেট

বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, এক সপ্তাহ আগে যেখানে বেগুনের দাম ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, সেই বেগুনই বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। পাশাপাশি, লঙ্কার দামের ঝাঁঝে চোখে জল আসছে সাধারণের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:০৮
ফের বেড়েছে আনাজের দাম। গড়িয়াহাট বাজারে।

ফের বেড়েছে আনাজের দাম। গড়িয়াহাট বাজারে। —ফাইল চিত্র।

এ যেন বাজারে শেয়ারের দাম হঠাৎ চড়ে যাওয়ায় ঝড়ের গতিতে সেনসেক্সের উত্থান! এক সপ্তাহ আগেও আনাজের যা দাম ছিল, এক ধাক্কায় সেই দাম অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, এর পিছনে ‘ভিলেন’ গত কয়েক
দিনের লাগাতার বৃষ্টি। কিছু আনাজ গাছ পচে গিয়েছে। যত আনাজের গাড়ি কলকাতায় আসার কথা, আদতে আসছে তার থেকে অনেক কম। সব মিলিয়ে চাহিদার তুলনায়
জোগান কমে যাওয়ায় দামের এই বাড়বাড়ন্ত।

বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, এক সপ্তাহ আগে যেখানে বেগুনের দাম ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, সেই বেগুনই বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। পাশাপাশি, লঙ্কার দামের ঝাঁঝে চোখে জল আসছে সাধারণের। তা ঘোরাফেরা করছে কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। ক্যাপসিকাম ৩০০ টাকা কেজি! দাম বেড়েছে পটল, ঢেঁড়সেরও। সাদা পটলের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ঢেঁড়সের দামও ৬০ টাকা ছুঁয়েছে।

গড়িয়াহাট বাজারের বাজার সমিতির সম্পাদক দিলীপ মণ্ডলের কথায়, ‘‘গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বেশ কিছু আনাজ গাছ পচে গিয়েছে। আবার ক্যাপসিকামের মতো যে সব আনাজ ভিন্‌ রাজ্য থেকে আসে, সেগুলি আনতে গিয়ে বৃষ্টির জলে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। দশ কেজি ক্যাপসিক্যাম কিনলে খারাপ বেরোচ্ছে এক কেজি! সেই সঙ্গে বৃষ্টির ফলে রাস্তার এত খারাপ অবস্থা যে, অনেক গাড়ি আসতে পারছে না।’’

যদিও আনাজের গাছ পচে যাওয়া দাম বাড়ার একটি কারণ, এই যুক্তি মানতে চাননি ‘চাষি ভেন্ডার অ্যাসোসিয়েশন’-এর প্রেসিডেন্ট তথা রাজ্য টাস্ক ফোর্সের এক সদস্য কমল দে। তাঁর মতে, ‘‘এত বৃষ্টিও হয়নি যে, গাছ পচে গিয়েছে। বরং টানা বৃষ্টিতে কৃষকেরা মাঠ থেকে আনাজ তুলতে যেতে পারছেন না। তা ছাড়া গ্রামের দিকে বেশির ভাগ বাজার খোলা মাঠে বসে। কিন্তু বৃষ্টির জন্য নিয়মিত সেই বাজার বসছে না। ফলে পাইকারি ব্যবসায়ীরা চাষিদের থেকে আনাজ কিনতে পারছেন না।’’

কমল জানান, কলকাতার বাজারগুলিতে বেশির ভাগ আনাজ আসে দুই ২৪ পরগনা, হুগলি এবং নদীয়া থেকে। ওই সব জেলা থেকে শহরে আসার রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ যে, অনেকেই ট্রাক ভর্তি আনাজ আনতে সাহস পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘‘এতেই জোগান মূলত কমছে। তবে শীঘ্রই দাম সাধ্যের মধ্যে আসবে।’’

রাজ্য টাস্ক ফোর্সের আর এক সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, ‘‘কিছু আনাজের দাম বাড়লেও সব বাড়েনি। যেমন, টোম্যাটোর দাম কেজি প্রতি ৪০ টাকাই আছে। যে সব আনাজের দাম বেশি বলে শোনা যাচ্ছে, তা-ও কমে যাওয়ার কথা। তবে, তেমন কোনও অভিযোগ পেলে আমরা ফের বাজার পরিদর্শনে বেরোব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Vegetable Price Heavy Rain

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy