তেমন বৃষ্টি হয়নি। তবু ওইটুকু জলেই শুক্রবার বিপত্তি ঘটল মেট্রোর সিগন্যাল ব্যবস্থায়। দাঁড়িয়ে পড়ল ট্রেন। তার পরে আবার মেরামত করতে সময় লাগায় দমদম থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হল।
মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে বৃষ্টির জলে দমদমে সিগন্যাল ব্যবস্থায় ত্রুটি দেখা দেওয়ায় গিরিশ পার্ক পর্যন্ত মেট্রো বন্ধ রাখতে হয়।” কিন্তু দমদমে মেট্রোর লাইন এমনিতেই মাটির অনেক উপরে। তার পরে ক্রমশ নামতে নামতে সুড়ঙ্গে ঢুকেছে। যেখানে গোলমাল হয়েছে বলে রবিবাবু জানিয়েছেন, সেটা মাটির উপরের ঢাল অংশে। কিন্তু তা হলে সেখানে জল জমল কী ভাবে, তার ব্যাখ্যা অবশ্য দিতে পারেননি মেট্রো-কর্তারা।
এমনিতেই গত কয়েক দিন ধরে মেট্রোর সিগন্যাল ব্যবস্থায় গোলমাল চলছে। কারণ, সম্প্রতি মেট্রোর লাইনে দুর্ঘটনা রুখতে নতুন ‘ট্রেন প্রোটেকশন ওয়ার্নিং সিস্টেম’ বসানো হয়েছে। তা কয়েক দিন হল কার্যকর করা হয়েছে। আর তাতেই হয়েছে বিপত্তি। দু’টি ট্রেনের মধ্যে নির্ধারিত দূরত্ব কম-বেশি হলেই ওই সিস্টেম স্বয়ংক্রিয় ভাবে চালককে কেবিনের ভিতরে সিগন্যাল দিচ্ছে। তার পরে ট্রেনের ব্রেক আপনা-আপনি দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। আর এই ঘটনা বারবার হওয়ায় প্রতিটি ট্রেনই সময় মতো চলতে পারছে না। এ দিনের ঘটনা এই কারণেই কি না, তা নিয়েও কিছু বলেননি মেট্রোর কর্তারা।
এ দিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় মেট্রোয় ওই গোলমালের কারণে অফিস-ফেরত নিত্যযাত্রীরা চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েন। অনেকেই মেট্রো ছেড়ে সড়কপথে বাড়ি ফেরার জন্য বাস বা ট্যাক্সি ধরার চেষ্টা করেন। গিরিশ পার্ক থেকে আপ ও ডাউন মেট্রো চালানোর সময়েও তা চলছে ধীরগতিতে। যাত্রীদের বক্তব্য, টালিগঞ্জ থেকে রবীন্দ্র সরোবর আসতেই ওই সময়ে প্রায় ১৫ মিনিট লাগছিল। রাত পৌনে ৮টা নাগাদ আবার টানা মেট্রো-চলাচল শুরু হলে রবীন্দ্র সরোবর থেকে যথারীতি পরপর সব স্টেশনগুলিতে যাত্রীর ঢল নামে। অনেকগুলি আপ ও ডাউন ট্রেনের দরজা বন্ধ না হওয়ায় আবারও দুর্ভোগ হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy