প্রাচীন আমলে কী রকম ছিল কালীঘাট মন্দির? বাইরের পরিবেশটাই বা কেমন ছিল? তখনকার রাস্তাঘাটের চেহারা, দোকানপাটের অবস্থান-সহ বহু পুরনো ছবি ও তথ্য— সবই তুলে ধরা হল একটি অডিও-ভিস্যুয়াল প্রেজেন্টেশনে।
কালীঘাট মন্দিরের উন্নয়নের কাজ কী ভাবে হতে পারে, বৃহস্পতিবার তা নিয়ে এক বৈঠক হয় পুর ভবনে। সেখানেই ওই মন্দিরের ইতিহাস-সহ পুরনো অনেক ছবি ও তথ্য পর্দায় তুলে ধরা হয়। ওই কাজে উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে স্থপতি অঞ্জন মিত্রকে। বৈঠকে কালীঘাট থানার পুলিশ ছাড়াও মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও পুরসভার পদস্থ অফিসারেরা ছিলেন।
কালীঘাট মন্দিরের আকর্ষণ বাড়াতে পুরো মন্দির চত্বরের সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কর্মসূচি নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি এ নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, কালীঘাট মন্দির চত্বর ও দুধপুকুরের সৌন্দর্যায়ন করবে সরকার। দায়িত্ব দেওয়া হয় কলকাতা পুরসভাকে। সেই নির্দেশের পরে মেয়র-সহ পুরসভার অফিসারেরা পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন। নবান্নের বৈঠকে ঠিক হয়, তিন-চারটি নকশা তৈরি করে ৩১ অগস্টের মধ্যে তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, এক-দেড়শো বছর আগে মন্দিরের কাঠামো কেমন ছিল, রাস্তাঘাট কতটা প্রশস্ত ছিল, সবই দেখানো হয় এ দিনের বৈঠকে। নবান্নের নির্দেশ, কালীঘাটকে রাজ্যের অন্যতম প্রধান আকর্ষণীয় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের আকর্ষণ কী ভাবে বাড়ানো হয়েছে, তা-ও দেখায় উপদেষ্টা সংস্থা। কালীঘাট চত্বরকে সে ভাবেই গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা যায় কি না, আলোচনা হয় বৈঠকে।
পুরসভার এক আধিকারিক জানান, কালীঘাট মন্দির আগে কেমন ছিল, এ দিন তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। আগামী ২ অগস্ট প্রকল্পের কর্মপন্থা নিয়ে বৈঠক হবে। রাস্তা কতটা চওড়া করা যাবে, বিক্রেতারা কোথায় কী ভাবে পসরা সাজাতে পারবেন, প্রবেশদ্বার বদলানো হবে কি না, সে সব নিয়ে বিস্তারিত একটি রিপোর্ট বই আকারে তৈরি করা হবে। সঙ্গে প্রস্তাবিত নতুন তিন-চারটি নকশা। আগামী ১৬ থেকে ২০ অগস্টের মধ্যে তা তৈরি করতে বলা হয়েছে। পরে তা পাঠানো হবে নবান্নে। যে নকশায় কাজ হবে, তার চূড়ান্ত বাছাই করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy