পাটুলিতে এক বৃদ্ধার অ্যাসিডে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় অবশেষে তাঁর দূর-সম্পর্কের আত্মীয় এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত চিত্রা দে-র বয়স ৪৮ বছর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনিও গায়ে অ্যাসিড ঢেলে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। গত বুধবার, ১৮ মে ওই ঘটনার পর থেকে চিত্রা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মঙ্গলবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
চিত্রার অ্যাসিড আক্রমণে জখম হন শোভনা চক্রবর্তী নামে এক বৃদ্ধা। বর্তমানে শোভনাদেবী ন্যাশনাল মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার দিনই চিত্রার স্বামী অসিত দে-র মৃতদেহ বাড়ির নীচে পাওয়া যায়। তিন তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ ও সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরে গৃহকর্ত্রী তথা আত্মীয়ার গায়ে অ্যাসিড ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা করতে যান চিত্রা। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, পাটুলির ওই বাড়ির মালিক শোভনা চক্রবর্তী। ওই বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে থাকতেন শোভনাদেবীর কন্যা শ্রীপর্ণা চক্রবর্তীর প্রথম স্বামী কিংশুক সেনগুপ্তের মেসো অসিত দে ও মাসি চিত্রা দে। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে তাঁদের বাড়ি ছাড়তে বলা হলেও অসিত ও চিত্রা তা করছিলেন না। এই নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে দু’পক্ষে তুমুল বিবাদ শুরু হয়। ঘটনার পরে শোভনাদেবীর মেয়ে শ্রীপর্ণা, পাটুলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই চিত্রা দে-কে এ দিন গ্রেফতার করেছে পুলিশ।