Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

হিন্দু হস্টেল সংস্কারের কাজ শুরু

অবশেষে সংস্কার শুরু হচ্ছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু হস্টেলের। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, কলেজ স্ট্রিট এলাকার এই ঐতিহ্যবাহী হস্টেলে দীর্ঘ দিন ধরে কোনও বড় সংস্কার হয়নি। বছর দুয়েক আগে শুধু ছাদ মেরামতির কাজ হয়েছিল।

সংস্কারের অপেক্ষায় হিন্দু হস্টেল। —ফাইল চিত্র।

সংস্কারের অপেক্ষায় হিন্দু হস্টেল। —ফাইল চিত্র।

সৌভিক চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৫ ০০:৩৮
Share: Save:

অবশেষে সংস্কার শুরু হচ্ছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু হস্টেলের।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, কলেজ স্ট্রিট এলাকার এই ঐতিহ্যবাহী হস্টেলে দীর্ঘ দিন ধরে কোনও বড় সংস্কার হয়নি। বছর দুয়েক আগে শুধু ছাদ মেরামতির কাজ হয়েছিল। সম্প্রতি হেরিটেজ কমিটি হস্টেলটি পরিদর্শন করে। কমিটির সদস্য স্থপতি পার্থরঞ্জন দাস তাঁদের রিপোর্টে জানান, এটি বাসস্থান হিসেবে সুরক্ষিত নয়। এর পরেই শতাব্দীপ্রাচীন এই হস্টেলের মেরামতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, অগস্ট মাস থেকেই এই মেরামতির কাজ শুরু হবে। এই বাবদ মোট খরচ হবে আট কোটি টাকা।

হিন্দু হস্টেলে এখন ১৩০ জনেরও বেশি আবাসিক রয়েছেন। তার সঙ্গে সুপার, কর্মচারী মিলিয়ে আরও ২০ জন রয়েছেন। তাঁদেরকে রাজারহাটের ভাড়া করা ৬৪টি ফ্ল্যাটে আপাতত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়ে‌ছেন। সম্প্রতি এ নিয়ে হস্টেলের আবাসিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার। পরে তিনি জানান, ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে আবাসিকদের নতুন ঠিকানায় উঠে যেতে হবে।

হিন্দু হস্টেল ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রস্তাব পেয়ে খুশি নন আবাসিকদের অনেকেই। তাঁরা জানান, রাজারহাট অনেকটাই দূর। সেখান থেকে রোজ কলেজে আসা-যাওয়া কষ্টকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানাচ্ছেন, কলেজে যাতায়াতের জন্য বাসের ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু হিন্দু হস্টেলের ছাত্রদের অনেকেই সন্ধ্যায় কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে নানা কাজে যান। সে ক্ষেত্রে কলেজের বাস ধরে রাজারহাটের ফ্ল্যাটে ফেরা সবার পক্ষে সম্ভব নয় বলে তাঁরা জানান। এমনই এক আবাসিক ছাত্রের কথায়, ‘‘এমন হলে নতুন হস্টেলে যাওয়ার বদলে মধ্য কলকাতায় কোনও মেসে থেকে যেতে হবে।’’

কলকাতার কার্যত কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হিন্দু হস্টেলে থাকলে যে সব সুবিধা মেলে, তা যে রাজারহাটে মিলবে না, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার। তিনি বলছেন, ‘‘রাজারহাট শহর থেকে একটু দূর। তাই কলেজ স্ট্রিটের থাকার মতো সুবিধা মিলবে না। তবে সংস্কার করতে গেলে ছাত্রদের একটু কষ্ট করতেই হবে।’’ বাংলা স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শঙ্খজিৎ বিশ্বাস বললেন, ‘‘জানি কিছু করার নেই। তবু ছেড়ে যেতে কার ভাল লাগে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Repairing work Hindu hostel flat rajarhat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE