বিপজ্জনক: এমনই ভাঙা রাস্তা দিয়ে চলে নিত্যযাত্রা। ছবি: শৌভিক দে
রাস্তার দু’পাশে গড়ে উঠেছে বহুজাতিক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার অফিস। শুধু তথ্যপ্রযুক্তি অফিসই নয়, খাস কলকাতার অনেক গুরুত্বপূর্ণ অফিসই এখন চলে গিয়েছে নিউ টাউনে। গড়ে উঠেছে আবাসন, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া ক্যাম্পাস। সব মিলিয়ে কলকাতার কাছে গড়ে ওঠা নিউ টাউন উপনগরী যেন সত্যিই ‘স্মার্ট’। অভিযোগ, ‘আনস্মার্ট’ শুধু এলাকার রাস্তাঘাট। এমনই যে কোথাও কোথাও কার্যত দুর্গম।
কী রকম দুর্গম রাস্তা তার নমুনা দিলেন তথ্য প্রযুক্তির সংস্থার এক কর্মী প্রসেনজিৎ বসু। তিনি বলেন, ‘‘চিনার পার্ক হয়ে একটি শপিং মল পেরোতেই গাড়ি গর্তে পড়ে খারাপ হয়ে যায়।’’ অফিস যাত্রীদের অভিযোগ, তাঁদের জন্য বাস কম। অনেকেই নিজেদের গাড়ি বা মোটরসাইকেল নিয়ে অফিসে আসেন। গাড়ি খারাপ হওয়ার ভয়ে অনেকেই এখন গণ পরিবহনের শরণাপন্ন হয়েছেন।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিউ টাউনের মেজর আর্টেরিয়াল রোড, যা এয়ারপোর্ট থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভকে সংযুক্ত করেছে, সেই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বিভিন্ন অংশ খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। অ্যাকশন এরিয়া টু-এর বাসিন্দা সুজিত চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘বেশ কিছু সার্ভিস রোডের হালও খুব খারাপ।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অনেক সময় ট্র্যাফিক পুলিশ গাড়িগুলোকে সার্ভিস রোডে ঘুরিয়ে দেওয়ায় খানাখন্দের মধ্যে পড়ে গিয়ে তৈরি হয় যানজট। অ্যাকশন এরিয়া থ্রি-র রাস্তার উপরেই তৈরি হয়েছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নতুন ক্যাম্পাস। এক বেসরকারি বিশ্ববদ্যালয়ের ছাত্র অসীম চৌধুরী বলেন, ‘‘রাস্তা খারাপ বলে অটো, টোটোও আসতে চায় না। কলেজে আসতে দেরি হয়ে যায়।’’
হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, ‘‘যে সব রাস্তার ওপর দিয়ে মেট্রোর কাজ হচ্ছে, সেই সব জায়গাগুলোতে রাস্তা বেশি খারাপ হয়েছে। কী ভাবে দ্রুত সারিয়ে নেওয়া যায় সেই নিয়ে আমরা মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছি।
রাস্তা সারানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy