বালি চলে এসেছে মাঝ রাস্তায়। পাশে রাখা পাথরকুচিও ছড়িয়ে রয়েছে। পিছলে যাচ্ছে দু’চাকার গাড়ি। পা হড়কাচ্ছে পথচারীরও। এমনই অবস্থা দমদমের বিভিন্ন রাস্তার। এ ভাবে ইমারতি দ্রব্য ফেলে রাখাই দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ।
কিছু দিন আগে সেক্টর ফাইভে রাস্তায় পড়ে থাকা বালিতে পিছলে প্রাণ যায় এক মোটরসাইকেল আরোহীর। দমদমেও এমন হতে পারে বলে আশঙ্কা। দমদম রোড, এম সি গার্ডেন রোড, শেঠবাগান রোড, শহিদ ক্ষুদিরাম বোস সরণি, হরকালি কলোনি, গোষ্ঠবিহারী কলোনির রাস্তায়ও এমন ভাবে পড়ে থাকে নির্মাণ সামগ্রী। এম সি গার্ডেন রোডের এক বাসিন্দার অভিযোগ, “বাড়ির সামনের মোড়ে এমন ভাবে নির্মাণ সামগ্রী পড়ে থাকে যে স্কুলের গাড়ি ঢুকতে পারে না। মনে হয় মোড়ের মাথায় এই জায়গাটা যেন প্রোমোটার কিনে রেখেছেন।”
অভিযোগ, দমদমের অলিতে-গলিতে তৈরি হওয়া বহুতলগুলির প্রোমোটারদের বিভিন্ন সিন্ডিকেট ইমারতি দ্রব্য সরবরাহ করে। অধিকাংশ সিন্ডিকেটের নির্দিষ্ট অফিস না থাকায় যত দিন বহুতলটি তৈরি হয় তত দিন তারা এই ভাবে রাস্তার দখল নিয়ে থাকে। এই অঞ্চলে সিন্ডিকেটের সংখ্যাও প্রচুর। ফলে প্রায় সব রাস্তারই একই অবস্থা।
দিন কয়েক আগে পুরসভা থেকে দমদম রোডের ধারে ফুটপাথ দখল করে রাখা দোকানপাট, বাজার সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “ভেবেছিলাম ফুটপাথ দিয়ে এ বার হাঁটতে পারব। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই দেখি পড়ে রয়েছে বালি, পাথর। তা হলে ফুটপাথ সাফ করে কী লাভ হল?” অভিযোগ, দমদম রোডের মতিঝিল স্কুলের সামনেও একই ছবি।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে এখন সরকারি প্রশাসকরা পুরসভা চালাচ্ছেন। পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার সুপ্রিয় হালদার বলেন, “খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। কেউ যদি রাস্তায় কোনও ইমরাতি দ্রব্য ফেলে তা হলে তা রাত এগারোটা থেকে ভোর ছ’টার মধ্যে তুলে নিতে হবে। দিনের বেলায় বা সন্ধ্যায় কেউ রাস্তার উপর নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখতে পারবে না।”