ছোট ছোট মীন কিংবা মাছের ছোট চারা শখে দান করে যান সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশিষ্ট অতিথিরাও। আর তাদের তত্ত্বাবধানের জন্য কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (কেআইটি) দ্বারা নিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীরা বহাল থাকেন। কখনও বা কেআইটি-র অনুমতি নিয়ে সাধারণ মানুষও খাবার দিয়ে যান।
কিন্তু শখে দান করা সেই মাছ বঁড়শি ফেলে চুরি কত পাশের বস্তির এক দল যুবক। নজরদারি এড়িয়ে মাছ ধরা মুশকিল হয় বলে কেআইটি সূত্রে দাবি। অনেক বার ধরাও পড়েছে কিছু যুবক। এর জেরে অনেক রক্ষীর উপরে রাগও রয়েছে ওই দলটির। সেই রাগ মেটাতেই সম্প্রতি রবীন্দ্র সরোবরের ভিতরে ঢুকে এক রক্ষীর উপর চড়াও হল মাছ চোরেরা। এমনটাই অভিযোগ সরোবরের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের।
সম্প্রতি এই ঘটনার জেরে লেক থানায় দুই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে কেআইটি। পুলিশ ছোটু নামে পাশের বস্তির এক যুবককে গ্রেফতার করলেও পরে ছেড়ে দেয়। এই ঘটনার জেরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন খোদ কেআইটি-র নিরাপত্তারক্ষীরাই!
কেআইটি সূত্রে খবর, রবীন্দ্র সরোবরের মূল লেকটিতে রয়েছে ছোট সিলভার কার্প থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। কিছু মাছের ওজন ২০ কেজির উপরে। এই মাছের লোভেই সরোবর সংলগ্ন বস্তির কিছু যুবক প্রায়ই বঁড়শি নিয়ে মাছ ধরে। অনেক বারই তাড়া খেয়ে দলটি পালিয়ে গিয়েছে বলেও দাবি লেকের নিরাপত্তারক্ষীদের। কিন্তু দলটির প্রায় সকলেই পাশের বস্তির বাসিন্দা হওয়ায় দু’পক্ষই দু’পক্ষের চেনা। আর তাতেই বিপদ বে়ড়েছে বলে মনে করছেন কেআইটি নিরাপত্তারক্ষীরা।
কেআইটি-র এক আধিকারিকও এই আশঙ্কার কথা স্বীকার করেছেন। ওই আধিকারিক জানান, এই মুহূর্তে লেকের নিরাপত্তার জন্য কেআইটি নিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা ৫৬। তিনটি শিফটে এঁরা পুরো লেক এলাকায় টহল দেন। এঁরা ছাড়াও কলকাতা পুলিশের লেক থানা থেকেও সাব-ইন্সপেক্টর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট-সাব-ইন্সপেক্টর মিলিয়ে পাঁচ জন ও ১৫ জন পুলিশ দিনের নানা সময়ে সরোবর এলাকার মধ্যে টহলদারি করেন। কিন্তু এই চোরের দল তাঁদের ভয় পায় না বলেই দাবি কেআইটি-র নিরাপত্তারক্ষীদের। তার ফলেই এ বার তাঁদের উপরে আক্রমণ করতেও ভয় পায়নি ওই দলটি। তাছাড়া রক্ষী হলেও তাঁদের হাতে কোনও অস্ত্র থাকে না। রক্ষীদের সুপারভাইজ করার দায়িত্বে থাকা এক কর্মীর কথায়, ‘‘সে দিন ওই দুই যুবক মেরে এক রক্ষীর নাক ফাটিয়ে দিয়েছে। কিন্তু পরে ওই দলটি যে আরও বড় কোনও আঘাত হানবে না, সেটা কে বলতে পারে!’’ তবে পুরো ঘটনাটি কেআইটি-র উচ্চ আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। আধিকারিকদের তরফে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে ওই কর্মী জানিয়েছেন।
ভাইয়ের কপালে...
বোন পল্লবীর সঙ্গে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
দিলেন অভিনেত্রী নুসরত, রনিতা, সায়ন্তিকা ও মিমি। দক্ষিণ কলকাতার একটি বৃদ্ধাশ্রমে।
দিদির হাতে মিষ্টিমুখ মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।
ছবিগুলি তুলেছেন শৌভিক দে, সুদীপ্ত ভৌমিক এবং বিশ্বনাথ বণিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy