প্রেসিডেন্সি জেলের পরে এ বার আলিপুর জেল। জল ও জঞ্জাল জমিয়ে রাখার জন্য আলিপুর জেল কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারি দিলেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও।
দু’দিন আগেই জল ও জঞ্জাল জমিয়ে রাখার জন্য প্রেসিডেন্সি জেলকে এক হাজার টাকার জরিমানা করা হয়েছিল। শনিবার সকাল থেকে জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও তাঁর বাড়ি ও বাড়ির আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুরসভা এবং পূর্ত দফতরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা। আলিপুর জেল এবং তৎসংলগ্ন স্টাফ কোয়ার্টার্স, কল্পতরু, বিবেকানন্দ কলোনি এবং অতিরিক্ত জেলাশাসকের বাসভবনও চত্বর পরিদর্শন করেন তিনি।
কারা দফতর সূত্রের জানা গিয়েছে, আলিপুর জেলের ভিতরে হাসপাতাল চত্বর এবং বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের পাশে নিকাশি নালায় জমা জল ও জঞ্জাল পাওয়া যায়। সেখানে বেশ কিছু জায়গায় মশার লার্ভা জন্ম নিয়েছে বলেও সন্দেহ হয় স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের। এর পরেই আলিপুর জেল কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে সব কিছু পরিষ্কার করার নির্দেশ দেন জেলাশাসক। এমনকী, জেলের ভিতরে দু’টি জলের ট্যাঙ্ককে ঢাকনাহীন অবস্থায় দেখে অবাক হন জেলাশাসক। অবিলম্বে ওই দু’টি জলের ট্যাঙ্কে ঢাকনা লাগাতে জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন তিনি। কারা দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘আলিপুরে বেশ কয়েকটি নিকাশি নালায় জল জমে থাকে। পূর্ত দফতরকে বারবার বলা সত্ত্বেও ব্যবস্থা হয়নি। এ দিন বিষয়টি জানানো হয়েছে। পূর্ত দফতর নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’’
আজ, রবিবার থেকেই আলিপুর জেলে মশা মারার তেল ও ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর কাজ পুরোদমে শুরু হবে বলে কারা দফতর সূত্রের খবর। দফতরের ওই কর্তার কথায়, ‘‘আগামী মার্চেই আলিপুর থেকে সেন্ট্রাল জেল বারুইপুরে উঠে যাওয়ার কথা। সে জন্য জঞ্জাল পরিদর্শনে কিছুটা ঢিলেমি ছিল। জেলাশাসক বলায় অবিলম্বে সাফাইয়ের নির্দেশ দিয়েছি।’’
আলিপুর জেল ছাড়াও আশপাশের কল্পতরু, বিবেকানন্দ কলোনি, অতিরিক্ত জেলাশাসকের বাসভবন এবং জেলের স্টাফ কোয়ার্টার্স ঘুরে দেখেন জেলাশাসক। সেখানেও অবিলম্বে সাফাইয়ের নির্দেশ দেন তিনি। জেলাশাসকের কথায়, ‘‘দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে যা আমার কর্তব্য বলে মনে হয়েছে সেটাই করেছি।’’
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরে কলকাতার আলিপুর, প্রেসিডেন্সি, দমদম এবং আলিপুর মহিলা জেলে বহু বন্দি জ্বরে আক্রান্ত। এর মধ্যে সাত জনের ডেঙ্গি ধরা পড়েছে বলে সূত্রের খবর। এ হেন পরিস্থিতিতে সব জেলের সুপারদের মশানিধন কর্মকাণ্ড চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন কারা দফতরের ডিজি অরুণকুমার গুপ্ত। ডিজি-র নির্দেশের পরেই জেলাশাসকের সপার্ষদ অভিযান ডেঙ্গি ও অজানা জ্বর ঠেকাতে অনেকটা কাজে আসবে বলে জেল কর্তাদের অনুমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy