প্রতীকী ছবি।
সাধারণ মানুষের অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে সাইবার অপরাধীরা টাকা তুলে নিচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। বিশেষত মহিলা এবং প্রবীণদের নিশানা করছে ওই অপরাধীরা। এই অবস্থায় সাইবার অপরাধ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে থানায় এনে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে প্রচার চালাচ্ছে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর, প্রতি সপ্তাহে ওয়াটগঞ্জ থানার কনফারেন্স হলে ওই সচেতনতার ‘ক্লাস’ হচ্ছে। উপস্থিত থাকছেন এলাকার ৫০ জন বাসিন্দা। থানার ওসি থেকে বিশেষজ্ঞেরা সাইবার অপরাধের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সতর্ক করেছেন। ওই অপরাধীদের ঠেকাতে কী কী করা যাবে না, সেই বিষয়েও বোঝাচ্ছেন পুলিশকর্তারা। এক পুলিশ অফিসার এলাকায় ঘুরে ঘুরে সাইবার অপরাধের বিষয়ে সতর্ক করার সঙ্গেই নেওয়া হচ্ছে ওই ক্লাস। থানা সূত্রের খবর, ক্লাসে মহিলাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
পুলিশ সূত্রের খবর, সাইবার অপরাধের অভিযোগ প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কখনও অচেনা নম্বর থেকে ভিডিয়ো কল করে অশ্লীল ছবি দেখিয়ে টোপ দেওয়া হচ্ছে। কখনও ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ফোন করে চলছে প্রতারণা। আবার যাঁরা স্মার্ট ফোন ব্যবহারে ততটা পটু নন, সেই সব মহিলা এবং প্রবীণ নাগরিকদের ফাঁদে ফেলছে প্রতারকেরা।
পুলিশকর্তাদের একাংশের দাবি, অপরাধীরা প্রতারণার পদ্ধতি ঘন ঘন বদলে ফেলছে। আগে ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে অ্যাকাউন্ট নম্বর, এটিএম কার্ডের পিন জেনে প্রতারণা চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন সংস্থার নাম করে ‘কেওয়াইসি’ করার নাম করে কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করিয়ে ব্যাঙ্কের তথ্য জেনে প্রতারণা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই কারণে মোবাইলে কাউকে কোনও তথ্য না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আবার সমাজমাধ্যমে কাউকে বিশ্বাস করে কোনও তথ্য দিতেও নিষেধ করা হয়েছে। এক অফিসারের কথায়, ‘‘অচেনা নম্বর থেকে আসা ফোন বা ভিডিয়ো কল ধরার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কিছু হলে যাতে দ্রুত পুলিশে যোগাযোগ করা হয়, তার জন্য নম্বর দেওয়া হচ্ছে।’’
লালবাজার জানিয়েছে, ওয়াটগঞ্জের মতো গোটা শহর জুড়েই ওই সচেতনতামূলক প্রচার চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy