আটার বদলে প্যাকেটে মিলেছে তিন কোটির মাদক। —নিজস্ব চিত্র।
আটার প্যাকেটে পাচার হচ্ছিল হেরোইন। কিন্তু আগে থেকেই খবর ছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দাদের কাছে। রবিবার সেই হেরোইন পাচার করতে গিয়েই হাতে নাতে ধরা পড়ল নদিয়ার কুখ্যাত মাদক পাচারকারী মহম্মদ জসিমউদ্দিন মণ্ডল।
নদিয়ার পলাশিপাড়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে মানিকতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে আড়াই কেজিরও বেশি হেরোইন। এসটিএফের তদন্তকারীদের দাবি, প্রথমে তল্লাশি করে জসিমউদ্দিনের কাছ থেকে পাঁচটি আটার প্যাকেট পাওয়া যায়। সেই প্যাকেটে আটার বদলে ভরা ছিল বাদামি রঙের পাউডার। পুলিশের দাবি, ব্রাউন সুগার বা এক ধরনের হেরোইন ওই বাদামি গুঁড়ো। কলকাতা পুলিশের দাবি, বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই হেরোইনের আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমপক্ষে সাড়ে তিন কোটি টাকা।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে মুর্শিদাবাদ থেকে ওই হেরোইন সংগ্রহ করেছিল জসিমউদ্দিন। তদন্তকারীদের দাবি, মুর্শিদাবাদের কয়েকটি জায়গায় আফিম থেকে ওই ব্রাউন সুগার তৈরি করা হয়। তার পর সেই নিম্ন মানের হেরোইন নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। এখানে সেই হেরোইনের একটি অংশ স্থানীয় বাজারে মাদক পাচারকারীদের মাধ্যমে বিক্রি হয়। বাকি অংশ চলে যায় উত্তর ভারতের মাদক কারবারিদের কাছে। তারা সেই নিম্নমানের হেরোইনে রাসায়নিক ব্যবহার করে আরও শুদ্ধ করে।
আরও পড়ুন: পুরসভার কিছু স্কুলে নিরামিষ চলছে বহু বছর
আরও পড়ুন: মাইকের জ্বালায় পড়শোনা লাটে, কলকাতা পুলিশকে হোয়াটস্অ্যাপ করুন
জসিমউদ্দিনের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ দুর্গারাণী মণ্ডল এবং রাধারাণী দাস নামে আরও দু’জন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে মুচিপাড়া থানা এলাকা থেকে। উদ্ধার হয়েছে ৩২২ গ্রাম মাদক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy