আগুন লেগেছিল সোমবার রাতে। তিন দিন পরে, বৃহস্পতিবারও দেখা গেল বড়বাজারের সেই বহুতল থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। সে কারণে বাড়ির ভিতরে ঢুকে ধ্বংসস্তূপ সরাতে কলকাতা পুরসভাকে অনুমতি দিল না দমকল। ধিকিধিকি আগুন যদি ফের দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে, সেই আশঙ্কায় দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এখনও রাখা আছে ঘটনাস্থলে।
দমকলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ধোঁয়া বেরোনো আগের চেয়ে কমে এসেছে ঠিকই। তবে যে কোনও বড় অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ ভাবে ধোঁয়া বেরোনো বন্ধ হতে একটু সময় লাগে। জ্বলন্ত দাহ্য বস্তুর উপরে বাড়ির ধ্বংসস্তূপের একাংশ চাপা পড়ে যাওয়ায় সেগুলি এখনও পর্যন্ত নেভানো সম্ভব হয়নি। ফলে অল্প আগুন থেকেই গিয়েছে।’’
দমকলকর্তারাও বলছেন, ওই বাড়িটির যাবতীয় কাঠামোই কাঠের তৈরি। কাঠে আগুন লাগলে তা নিভতে সময় নেয়। তবে আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই ধোঁয়া বেরোনো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে বলে তাঁরা আশা করছেন।
এ দিনও ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের কর্মীরা। ওই দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল (২) দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কর্মীরা বাড়িটি ভাঙার জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু ভিতরে ঢুকতে পারেননি। আশা করছি আজ, শুক্রবার থেকে বাড়ির ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করা যাবে। বহুতলের যে অংশটি অক্ষত রয়েছে, এ দিন সেখান থেকে কয়েক জন ব্যবসায়ীর মালপত্রও বার করে আনা হয়েছে।’’
সোমবার রাতে ওই বহুতলের একতলার গুদামে প্রথমে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে গোটা বাড়িটি আগুনের গ্রাসে চলে যায়। ওই গুদামটিতে প্রচুর দাহ্য পদার্থ, যেমন প্লাস্টিক এবং জরি মজুত থাকায় আগুন চোখের পলকে ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির সামনের রাস্তাও অপ্রশস্ত হওয়ার কারণে ঘটনাস্থলে দমকলেরও পৌঁছতে সমস্যা হয়। শেষ পর্যন্ত ৩০টি ইঞ্জিন পৌঁছে বাড়ির বাইরে থেকে পাইপের মাধ্যমে জল নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল।