বিরোধী শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ধর্মঘটে প্রভাব পড়ল শহরের সার্বিক পরিবহণ চিত্রে। বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার ধর্মঘটে যাওয়া ট্যাক্সি এ দিনও কার্যত চোখেই পড়েনি। শুক্রবার কম চলেছে বেসরকারি বাস-মিনিবাস, কিছু সরকারি বাসও। তবে অটো-মেট্রো চলায় কিছুটা হয়রানি হলেও গন্তব্যে পৌঁছেছেন নিত্যযাত্রীরা।
গত মাসেও সার্বিক পরিবহণ ক্ষেত্রে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় বিরোধী শ্রমিক সংগঠনগুলি। সে দিনে ট্যাক্সি ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে তেমন সাড়া মেলেনি। এ দিনও কার্যত তা-ই হয়। পরিবহণ দফতর জানায়, ট্যাক্সি ছাড়া বাস-মিনিবাস-অটো ও সরকারি পরিবহণের বাকি শ্রমিক সংগঠনগুলি শাসক দলের। তাই ওই সব ক্ষেত্রে শাসক দল কিছুটা প্রভাব খাটিয়ে রাস্তায় বাস বার করতে পেরেছে। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের এক নেতার কথায়, “তিন দিন আগে থেকেই সব ইউনিয়নকে সর্বশক্তি দিয়ে ধর্মঘটের বিরোধিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার ফল মিলেছে।”
আপাত ভাবে ধর্মঘটের প্রভাব খানিকটা কম হওয়ায় স্বস্তিতে সরকার। তবে ধর্মঘট যে পুরোপুরি ব্যর্থ নয়, তার প্রমাণ রাত পর্যন্ত শহরের মোড়ে মোড়ে ভিড়ই। বোঝা গিয়েছে, সমস্যার শিকড় জিইয়ে সাফল্য দাবি কার্যত অর্থহীন।