ওই পরীক্ষার কয়েক জন পরিদর্শক। — নিজস্ব চিত্র
কার্যত পরিদর্শক ছাড়াই চলল চাকরির পরীক্ষা! রবিবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল দমদমের একটি স্কুলে। নির্বিঘ্নে সব কিছু শেষ হলেও পর্যাপ্ত সংখ্যক পরিদর্শকের অনুপস্থিতির বিষয়টি এমন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার নজরদারি ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
ঘটনাটি ঠিক কী?
রাজ্য সরকারের লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক পদের জন্য রবিবার ছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টাফ সিলেকশনের পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষা। দমদমে কুমার আশুতোষ ইনস্টিটিউশনে ওই পরীক্ষার জন্য প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৯১২। মোট ২৩টি ঘরে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বিদ্যালয় সূত্রে খবর, পরিদর্শক হিসেবে থাকতে বলা হয়েছিল বিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষককে। তাঁরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও বাইরে থেকে ২৮ জন পরিদর্শককে ডাকা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে এসেছিলেন ১৮ জন। কিন্তু ভাতা নিয়ে প্রধান
শিক্ষকের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে যাওয়ায় তাঁরা পরীক্ষার ডিউটি না করেই স্কুল থেকে চলে যান। শেষমেশ পরিস্থিতি সামলাতে স্কুলের দুই করণিককে ডেকে পরিদর্শকের কাজ করানো হয় বলে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে।
এক পরিদর্শক, সাউথ সিঁথির বাসিন্দা বাবু মান্নার অভিযোগ, ‘‘পরীক্ষা শুরুর আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুণকুমার আইত আমাদের জানান, পরিদর্শক হিসেবে মাত্র ১০০ টাকা দেওয়া হবে। এত কম টাকা কেন, তা জানতে চাইলে
তিনি আমাদের অপমান করে স্কুল থেকে চলে যেতে বলেন।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অরুণবাবু। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পরিদর্শকদের অভিযোগ মিথ্যা। তাঁদের কত টাকা দেওয়া হবে, তা কমিশনই ঠিক করে। ওঁরা কিছু না বুঝেই আমার সঙ্গে তর্ক করে বিদ্যালয় ছেড়ে চলে গেলেন।’’
কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি সুব্রত সরকার এ দিন বলেন, ‘‘এই পরীক্ষায় পরিদর্শকদের ৩০০ টাকা পাওয়ার কথা। নিয়ম মতো প্রতি ঘরে দু’জন করে পরিদর্শক থাকার কথা। কিন্তু দমদমের ওই স্কুল থেকে ১৮ জন পরিদর্শক চলে যাওয়ায় সব ঘরে দু’জন করে পরিদর্শক ছিলেন না।’’
কমিশনের চেয়ারম্যান কে এস রাজেন্দ্রকুমার বলেন, ‘‘২০১২ সাল থেকে কমিশনের বিভিন্ন পরীক্ষায় কড়া নজরদারি বাড়াতে পরিদর্শকের ভূমিকার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। দমদমের এই ঘটনা একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়। পরীক্ষা শুরুর আগেই পরিদর্শকদের চলে যাওয়া উচিত হয়নি। কেন এমন ঘটল, সে বিষয়ে খোঁজ নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy