Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
rabindra jayanti

করোনার সচেতনতায় মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গান কবিপ্রণামে

আজ, রবীন্দ্র সদন সংলগ্ন ক্যাথিড্রাল রোডে বিনা জনসমাগমেই রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গৃহবন্দি: বরাত দেওয়া রবীন্দ্র-মূর্তি পড়ে শিল্পীর স্টুডিয়োতেই। বৃহস্পতিবার, কুমোরটুলিতে। ছবি: সুমন বল্লভ

গৃহবন্দি: বরাত দেওয়া রবীন্দ্র-মূর্তি পড়ে শিল্পীর স্টুডিয়োতেই। বৃহস্পতিবার, কুমোরটুলিতে। ছবি: সুমন বল্লভ

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২০ ০১:৫২
Share: Save:

করোনা-পরিস্থিতির মধ্যে লকডাউন বিধি মেনেই রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। আজ, শুক্রবার কলকাতার ক্যাথিড্রাল রোডে বরাবরের মতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কবিপ্রণাম হবে একেবারেই অনাড়ম্বর ভাবে। পাশাপাশি প্রতি জেলায় নির্বাচিত রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গে করোনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা সচেতনতা-গান ব্যবহার করে ‘কবিপ্রণাম’ কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিংহ।

আজ, রবীন্দ্র সদন সংলগ্ন ক্যাথিড্রাল রোডে বিনা জনসমাগমেই রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লকডাউন বিধি মেনে রাজ্যের ১৬ জন শিল্পী নিজের নিজের বাড়ি থেকে গান গাইবেন। তা-ই সম্প্রচার হওয়ার কথা অনুষ্ঠানস্থলে। তবে প্রতি বারের মতো এ বার ক্যাথিড্রাল রোডে বিশিষ্ট অতিথি এবং সাধারণ শ্রোতাদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না।

অন্যান্য বার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ওই এলাকায় সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। সাধারণ শ্রোতাদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্য সদস্য এবং অতিথিরা।

কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডকে কেয়ারটেকার হিসাবে ৪ সপ্তাহ কাজ চালানোর অনুমতি

কবিপ্রণাম কর্মসূচি নিয়ে সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা দিয়েছে পুলিশ প্রশাসনও। এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিংহের দেওয়া ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলা এবং কমিশনারেটে কবিপ্রণাম কর্মসূচি পালন করা হবে। রবীন্দ্রনাথের কাট-আউট নিয়ে ছোট একটি করে ট্যাবলো ব্যবহার করা হবে। নির্বাচিত কিছু রবীন্দ্রসঙ্গীতের ব্যবহার হবে ওই ট্যাবলোর সঙ্গে। পাশাপাশি, করোনাভাইরাস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা সচেতনতা-গানটিও ব্যবহার করা হবে। সকাল ন’টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বসতি এলাকা ও আবাসনে ওই কর্মসূচি পালন হবে।

‘নরম’ পুলিশ, তাই কি অবাধে বিধিভঙ্গ

পুলিশকর্মীদের মধ্যে যাঁরা গান ভালবাসেন ও গাইতে পারেন, তাঁদেরও কর্মসূচিতে থাকার অনুরোধ করেছে পুলিশ প্রশাসন। সংশ্লিষ্টেরা সুরক্ষাবিধি ও লকডাউনের নিয়মের প্রচার করবেন জনবহুল এলাকায়। এর পাশাপাশি, করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের কী কী করণীয়, মাইকে তার প্রচারও করবেন পুলিশকর্মীরা।

লকডাউনের শুরু থেকে কলকাতার বিভিন্ন থানা এলাকায় পুলিশকর্মীরা গান গেয়ে সচেতনতা প্রচারের কাজ করতেন। লকডাউনের কী কী বিধি রয়েছে, কী ভাবে তা মেনে চললে করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব-সহ সচেতনতার যাবতীয় বিষয় গানের মাধ্যমে তুলে ধরতেন পুলিশকর্মীরা। সামাজিক মাধ্যমের দৌলতে তা জনপ্রিয়ও হয়েছিল। প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকেই মনে করছেন, রবীন্দ্রজয়ন্তীর কর্মসূচি পালনের ফাঁকে ফাঁকে পরিকল্পিত ভাবে করোনা-প্রচার চালানো গেলে, তা আখেরে সমাজের কাজেই লাগবে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE