গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
যাদবপুর-পাটুলি এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় দলের দুই কাউন্সিলরকে শোকজ় করল তৃণমূল। কাউন্সিলর স্বরাজ মণ্ডল ও তারকেশ্বর চক্রবর্তীকে শোকজ়ের চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে আলোচনার পরে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী শোকজ়ের চিঠি পাঠিয়েছেন বলে ওই সূত্রের দাবি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত থেকে যাদবপুর-পাটুলি এলাকায় দু’গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে অশান্তি ছড়ায়। সেখানে ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর স্বরাজ মণ্ডলকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ১১ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। তারকেশ্বরের পিছনে যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদারের মদত রয়েছে বলেও স্বরাজ শিবিরের অভিযোগ।
১১০ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় দফতরে বসতে যাওয়া নিয়ে দু’পক্ষের গোলমালের শুরু। স্বরাজ সেখানে বসতে গেলে তারকেশ্বরের অনুগামীরা আপত্তি জানান। তাঁরা জানান, ওই পার্টি অফিসের চেয়ারে স্বরাজকে বসতে দেওয়া হবে না। এ নিয়ে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তার পর হাতাহাতি। ঘুষি মেরে স্বরাজের কান ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
স্বরাজের অভিযোগ ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারম্যান তারকেশ্বর এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তৃণমূলের ওই দফতরে সপ্তাহে অন্তত এক দিন বসেন স্থানীয় বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার। আর বাকি দিন কাউন্সিলর। ওই দিন বিবাদের ঘটনা জানতেই প্রকাশ্যে কাউন্সিলরদের নিন্দা করেন মেয়র। তারপর রাজ্য সভাপতির সঙ্গে কথা বলে তাঁদের শোকজ়ের সিদ্ধান্ত হয়। শুক্রবার ওই দুই কাউন্সিলরকে শোকজ়ের চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য সভাপতি বক্সী।
কলকাতার আরও বেশ কিছু তৃণমূল কাউন্সিলর রয়েছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ রয়েছে। দুই কাউন্সিলরকে শোকজ়ের চিঠি পাঠিয়ে নেতৃত্ব তাঁদেরও বার্তা পাঠালেন বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy