প্রতীকী ছবি।
রোগীমৃত্যুকে ঘিরে গোলমাল বাধল বাগুইআটির একটি নার্সিংহোমে। ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটক করলেও পরে তাঁকে ছে়ড়ে দেওয়া হয়। এই গোলমালের জেরে রবিবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাগুইআটির জোড়ামন্দির এলাকা। পরে বিধাননগর পুরসভার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় ও পুলিশের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ থামে।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন নারায়ণপুরের বাসিন্দা সাজ্জাদ আলি (২৭)। তাঁর যক্ষ্মা ও নিউমোনিয়ার চিকিৎসা চলছিল। আইসিইউয়ে ভর্তি ছিলেন তিনি। তাঁর পরিবার জানায়, শনিবার পর্যন্ত সাজ্জাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতির কথা জানিয়েছিল নার্সিংহোম। আচমকাই এ দিন নার্সিংহোম থেকে ফোন করে মৃত্যুর খবর জানানো হয়। সাজ্জাদের আত্মীয় আরশাদ আলির বক্তব্য, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানান, এ দিন ভোরে সাজ্জাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অবস্থার অবনতি দেখে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। তাঁর অভিযোগ, প্রথমে তাঁদের দেখানো হয়নি সিসিটিভি ফুটেজ। বচসার পরে ফুটেজ দেখানো হয়। আরশাদের দাবি, ফুটেজে ধরা পড়েছে সকাল ৬টা নাগাদ সাজ্জাদের প্রবল কাশি শুরু হয়। নার্সরা দেখলেও ব্যবস্থা নেননি। অভিযোগ, ভেন্টিলেশনে দেওয়ার ঘটনা ফুটেজে নেই।
পুলিশ জানায়, ফুটেজ দেখার পরেই নার্সিংহোমের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। দরজার কাচ ভাঙা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়। সাজ্জাদের পরিবার মৃত্যুর তদন্তের দাবি জানিয়েছে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy