পুজোর ছুটির ঠিক আগের দিনই ভিন্ন পরিবেশ শহরের দু’টি কলেজে।
স্কটিশ চার্চ কলেজে এক দিনের জন্য শুরু হল পঠনপাঠন। আর অন্য দিকে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজে নিরাপত্তহীনতায় ভুগলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
গত সপ্তাহে স্কটিশ চার্চ কলেজে শিক্ষকদের এক বৈঠক চলার সময়ে বন্ধ দরজার বাইরে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে কয়েক জন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। তার জেরে কলেজ বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক-সহ পাঁচ জনের উপরে শাস্তির খাঁড়া নামে। তবে এ দিন পড়ুয়া কম থাকলেও ক্লাস হয়েছে।
তবে জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ ব্যাপক ভাবে ভাঙচুর চলার পরেও বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হয়নি বলেই কলেজ সূত্রের খবর। মঙ্গলবারের ঘটনার পরে বুধবার সকালে কলেজের টিচার্স কাউন্সিলের বৈঠক হয়। সেখানে সকলেই জানিয়েছেন, পড়ুয়ারা যে ভাবে ভাঙচুর চালিয়েছে, তাতে প্রত্যেকেই আতঙ্কগ্রস্ত। এই অবস্থায় কাজ করা যায় না। বৈঠকে ঠিক হয়, এই নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশুতোষ ঘোষকে চিঠি দেওয়া হবে। পুলিশ সূত্রের খবর, কলেজের তরফে বুধবার পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি। কিন্তু পুলিশ নিজের মতো করেই তদন্ত করছে। তদন্তকারীরা জানান, মঙ্গলবারের ঘটনার পরেই চার পড়ুয়াকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কেন? এক পুলিশ অফিসার বলেন, ‘‘তাঁদের থেকে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে।’’
এ দিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘রাজ্যজুড়ে শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্যের যে অভিযোগ উঠছে, তা গোটা তিনেক কলেজের বিরুদ্ধে। বাকি কোথাও কোনও সমস্যা নেই। জগদীশচন্দ্র কলেজের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলাম। উচ্চশিক্ষা দফতরে সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy