পরমা উড়ালপুলের সঙ্গে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড উড়ালপুলের সংযোগ হওয়া সত্ত্বেও যানজটের সমস্যা মিটছে না কিছুতেই। মঙ্গলবারের দুপুরেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। ফলে আটকে পড়েছিল বহু সংখ্যক যানবাহন।
পার্ক সার্কাস মোড়ে যে সব গাড়ির নামার দরকার নেই, যারা এজেসি বসু রোড উড়ালপুল থেকে পরমা উড়ালপুল ধরছে কিংবা উল্টোটা, তারাও কেন যানজটে পড়ছে?
ট্র্যাফিক পুলিশের বক্তব্য, দক্ষিণ শহরতলি ও দক্ষিণ কলকাতা থেকে ইএম বাইপাস ধরে আসা গাড়ি, তার সঙ্গে সল্টলেক-সহ উত্তর কলকাতা ও শহরতলির গাড়ি— সব মিলিয়ে ঘণ্টায় কয়েক হাজার গাড়ি আছড়ে পড়ছে পরমা উড়ালপুল থেকে পার্ক সার্কাস মোড়ে। কয়েক মিনিটের মধ্যে বিভিন্ন দিকে তাদের ছড়িয়ে দিতে গিয়ে পুলিশ হিমশিম খাচ্ছে। ফলে ব্যস্ত সময়ে জেরবার হচ্ছেন মানুষ।
এর সমাধান কী? নগরোন্নয়ন দফতর ও কলকাতা পুলিশের তাবড় কর্তারা জানাচ্ছেন, যাবতীয় ট্র্যাফিক ব্যবস্থার বদল ঘটিয়ে, পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। কোনও সমাধান সূত্রই মিলছে না। একমাত্র পথ, যে ভাবে এজেসি বসু রোড উড়ালপুল থেকে পরমা উড়ালপুলে সরাসরি যাওয়ার উড়ালপথ হয়েছে, একই ভাবে পরমা থেকে কংগ্রেস-এগজিবিশন রোডের উপর দিয়ে এজেসি বসু রোড উড়ালপুল পর্যন্ত আরও একটি উড়ালপথ করতে হবে।
নগরোন্নয়ন দফতরের কর্তারা জানান, বহু কাঠখড় পুড়িয়ে ওই পথ তৈরির প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। নগরোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘মাপজোকের কাজ শেষ। পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, এ বছরেই রাস্তা হয়ে যাবে।’’ তিনি জানান, ওটা তৈরি হলে পরমা উড়ালপুলে আর যানজট হবে না।
এ দিন পার্ক সার্কাসের যানজটের চাপ তো পরমা উড়ালপুলে এসে পড়ছিলই। তার উপর এ দিন একটি ধর্মীয় সংগঠনের মিছিলের জেরেও উড়ালপুলে যানজট হয়েছিল।
পুলিশের বক্তব্য, দুপুর ১২টায় হাজরা থেকে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের উদ্দেশে একটি মিছিল বেরোয়। সেই সময়ে মিন্টো পার্ক থেকে রবীন্দ্র সদন ও থিয়েটার রোড থেকে জওহরলাল নেহরু রোডের দিকে গাড়ি চলতে পারছিল না। সেই জট পাকাচ্ছিল পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়ে এবং এজেসি বসু রোড উড়ালপুলেও। আবার পরমা থেকে এজেসি বসু রোড উড়ালপুলের দিকেও গাড়ি আসতে না পেরে সার দিয়ে দাঁড়িয়েছিল। এক পুলিশকর্তা জানান, নির্মীয়মাণ সংযোগকারী উড়ালপথ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই যানজট বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy