বাড়িতে মহম্মদ রায়ান। রবিবার। —ফাইল চিত্র।
বেনিয়াপুকুরে এক কিশোরের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার রাতে পার্কসার্কাস এলাকা থেকে ওই দুষ্কৃতীদের অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম বাপি এবং কাল্টা শামিম। দু’জনের কাছ থেকে দু’টি ওয়ান শটার বন্দুক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
লালবাজার সূত্রের খবর, শনিবার গভীর রাতে বেনিয়াপুকুরের হরেকৃষ্ণ কোনার রোডে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হয় দশ বছরের মহম্মদ রায়ান আলম। বেনিয়াপুকুর ইসলামিয়া স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রায়ানের বাঁ-পায়ে গুলি লাগে।
শনিবার রাতে হরেকৃষ্ণ কোনার রোডে দীপক বাল্মিকী ওরফে পাপ্পু নামে এক দুষ্কৃতী তার সঙ্গীদের নিয়ে দাড়িয়েছিল একটি অনুষ্ঠান বাড়ির সামনে। সে সময় তিনটি মোটরবাইকে চেপে ঘটনাস্থলে আসে সারফু, ফতে, বাপি, কালো, চিনা, কাল্টা শামিমদের ছ’জনের একটি দুষ্কৃতী দল। ওই দুষ্কৃতী দলের নেতৃত্বে ছিলেন সারফু। এলাকার প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, সারফুরা প্রথমে পাপ্পুর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। এর পরেই সারফুদের মধ্যে থেকে এক দুষ্কৃতী গুলি ছোড়ে। কিন্তু, লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তা লাগে রায়ান আলমের পায়ে। আর তাতেই জখম হয় সে। পরে রাতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়।
ধৃতদের লালবাজারে এনে জেরা করার পর পুলিশের দাবি, পাপ্পুর সঙ্গে বিরোধের জেরে বাপি ও কাল্টা শামিম সে দিন গুলি চালিয়েছিল। উদ্ধার হওয়া বন্দুক থেকেই গুলি চালানো হয়েছিল বলে গোয়েন্দাদের দাবি। তবে গোয়েন্দারা প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছেন, মূল অভিযুক্ত সারফু ঘটনার সময় এলাকায় ছিল না বলে দাবি ধৃতদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy